বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ডেড ইস্যু নয়, বরং নির্বাচনী বাস্তবতায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখনও অনেক বড় জীবন্ত ইস্যু। পাশাপাশি, এই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে নীতিগতভাবে রাজী না হলে, বিএনপি তথা বিরোধী দল সরকারের সঙ্গে অর্থহীন সংলাপে বসবে না। সংলাপের আশার প্রদীপ তেল ছাড়া জ্বালালে মহূর্তেই নিভে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার দিনব্যাপী ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলে এমরান সালেহ প্রিন্স।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে আওয়ামী লীগ সরকার একমাত্র বাঁধা। তাই এই সরকারের পদত্যাগ, পার্লামেন্ট বিলুপ্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনই অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের একমাত্র গ্যারান্টি।বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আছে, কি নাই বা সংবিধানে কী আছে-তা না খুঁজে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এবং দেশ ও গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশেই প্রথম নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় উল্লেখ করে প্রিন্স বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশেই প্রথম নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। পৃথিবীর কোনো দেশে ভোটের আগের রাতে অনুগত প্রশাসন দিয়ে ব্যালট বাক্স বোঝাই করে ফল ঘোষণা করা হয়নি। তাই সংবিধানের দোহাই দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
সংবিধান বাঁধা নয়, সুষ্ঠু নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সরকারের সদিচ্ছা আছে কি না? সেটাই বড় প্রশ্ন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত