পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের একাধিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই পরিষদের সদস্যরা। শনিবার সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌহীদুর রহমান (সিআইপি) মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. কবিরুল ইসলাম খলিফা। এসময় পরিষদের সাধারণ সদস্য নুরুদ্দিন ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য মলি বেগম ছাড়া অপর ১০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১৫ জুন ধূলাসার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে আবদুর রহিম নির্বাচিত হয়। তিনি শপথ গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত সরকারী সকল বরাদ্দকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের অবগত না করিয়ে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মীদের দ্বারা ভাগ বন্টন করে আসছেন। যা স্থানীয় সরকার আইন পরিপন্থী।
এছাড়া ১৫ আগস্ট ২০২২ সালে জাতীয় শোক দিবস পালন করা নাজায়েজ বলে মন্তব্য করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠান এবং কালোব্যাজ ধারণ থেকে বিরত থেকেছেন ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম। ইতিপূর্বে চেয়ারম্যানের এমন বিরূপ মন্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে সমালোচনার ঝড় উঠে।
ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন ভবন থেকে সামনের পাকা সড়ক পর্যন্ত লোহার ব্রীজ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। ৬৫ দিনের সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ১৭৪৮ জন জেলের বরাদ্দকৃত বিশেষ ভিজিএফ চাল বিতরণে মাথাপিছু ২০০ টাকা করে পরিবহন খরচের নামে ইতিমধ্যে ৮ নং ওয়ার্ড থেকে বারো হাজার টাকা আদায় করে পকেটস্থ করেছেন তিনি। অন্য ওয়ার্ডের টাকা আদায় না হওয়ায় অদ্যবধি জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করেননি বলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিম বলেন, চাল চুরি ঠেকানোর জন্য তারা আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে। জাতীয় দিবস পালন করেছি তার ভিডিও প্রমাণ সাপেক্ষে উপস্থাপন করতে পারবো। তাদের অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল