নোয়াখালীল বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের বানাবাড়িয়া টঙ্গিরপাড় এলাকায় মাছ চুরি দেখে ফেলায় মৎস্য খামারী ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাসকে (৫০) গলা কেটে হত্যা করে লাশ চেয়ারে বসিয়ে রেখে গেছে হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত মাদকসেবী আবদুর রব ওরফে আবুল এক আসামিকে গ্রেফতার করে। সে পাশের আলমপুর গ্রামের মৃত মালেকের ছেলে।
আজ দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম। প্রেস ব্রিপিংএ আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোঃ ইব্রাহিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও বেগমগঞ্জ সার্কেল মোঃ নাজমুল হাসান রাজিব, বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল হক রনি সহ প্রমুখ। এর আগে, শুক্রবার রাত ২-৩টার মধ্যে উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নর টঙ্গির পাড় এলাকার চিত্ত বাবুর দিঘিতে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাৎক্ষণিক পুলিশ এক আসামিকে গ্রেফতার করে।
প্রেস ব্রিফিং এ বলা হয়েছে, রাজগঞ্জ ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রব ওরফে আবুল (৪০) ও বাদশা নামে এক যুবক ৪/৫ দিন আগে তাদের এলাকার একটি পুকুর থেকে রাতের বেলা মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিহত দুলাল দেখে ফেলে পুকুরের মালিককে জানায়। পুকুরের মালিক রব মিয়া এ নিয়ে আবুল ও বাদশাকে গালমন্দ করে। এ নিয়ে ভিকটিম ও তাদের মাঝে একটি বিরোধ দেখা দেয়। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা অনুসারে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তারা দুইজন দুলাল যেখানে মাছ পাহারা দেয় সেই প্রজেক্টে যায়। তখন দুলাল ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। বাদশা ও আবুল দুজন মিলে চাপাতি ও খুর দিয়ে কুপিয়ে গলা কেটে হত্যা করে দুলাল কে। আবুল ও বাদশা দুজনই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বকুল রানী দাস বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আবুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হবে। পুলিশ অপর পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ