ফল ব্যবসায়ী বাবর আলী হত্যার দুদিনের মধ্যেই হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী মহিমা খাতুন নিজ হাতে হাঁসুয়া দিয়ে গলায় কোপ মেরে হত্যা করেন স্বামীকে। এ বিষয়ে পুলিশের কাছে প্রাথমিক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন নিহতের স্ত্রী। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার জানায়, গত ৮ জুন দিনগত রাতে দামুড়হুদা উপজেলার ধান্যঘরা গ্রামের নিজ বাড়িতে খুন হন ফল ব্যবসায়ী বাবর আলী। ঘটনার পর থেকেই হত্যা রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করে পুলিশ। এক পর্যায়ে সন্দেহভাজন হিসেবে স্ত্রী মহিমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে মহিমা খাতুন হত্যার কথা স্বীকার করেন।
পুলিশের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিতে মহিমা খাতুন বলেন, স্বামীর অজান্তে এনজিও থেকে কয়েক লাখ টাকা ঋণ নেন তিনি। ফলে মোটা অংকের কিস্তি পরিশোধ করতে হতো স্বামী বাবর আলীকে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য লেগেই থাকতো। গত ৮ জুন দিনগত রাতেও এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাতের কাছে থাকা ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে স্বামীর গলায় কোপ মারেন মহিমা খাতুন। পরে পরিবারের সদস্যরা জখম বাবর আলীকে হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএ