ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে।বুধবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ছনুয়ায় এক মোটরসাইকেল আরোহী ও স্কুলছাত্র নিহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মো. হানিফের ছেলে স্কুল শিক্ষার্থী আরাফাতুর রহমান (১২) ও ফেনী সদর উপজেলার টঙ্গীর পাড় গ্রামের মো. মোস্তফার ছেলে ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম (৪০)। আরাফাতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আবদুর রহিমের লাশ ঘটনাস্থল থেকে পরিবারের সদস্যরা বাড়ি নিয়ে গেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে আবদুর রহিম বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে মহাসড়কের লালপুল এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। ছনুয়া টঙ্গীরপাড়া এলাকায় পৌঁছেলে পেছন থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যায়।
অপরদিকে চট্টগ্রাম থেকে মালামাল নিয়ে একটি পিকআপ ভ্যান কুমিল্লার দিকে যাওয়ার পথে ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া এলাকায় পৌঁছলে পিকআপটি একটি ট্রাককে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এরপর পিকআপটি সড়েকের পাশে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কা লেগে পাশের গর্তে পড়ে যায়। এতেই ঘটনাস্থলেই পিকআপে থাকা স্কুলছাত্র আরাফাত নিহত হয় ও তার পিতা পিকআপ চালক মোহাম্মদ হানিফ মারাত্মক আহত হন। জানা যায়, আরাফাত তার বাবার সাথে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে শখ করে পিকআপে উঠেছিলেন। তাদের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় হলেও তারা চট্টগ্রামের সিটি গেইট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। নিহত আরাফাত ওই এলাকার একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিলো।
ফাজিলপুর হাইওয়ে থানার ওসি রাশেদ খান চৌধুরী শিশুসহ দুইজন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ পৌঁছার আগেই আবদুর রহিমের স্বজনরা তার মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছে। আরাফাতের মৃতদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতল মর্গে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ