নরসিংদীর পলাশে তুচ্ছ ঘটনার জেরে শফিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক যুবককে ফোনে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাম হাতের কবজি কর্তনের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে উকিল বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহত শফিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্বজনরা। আহত শফিকুল ইসলাম ডাঙ্গা ইউনিয়নের দাম্মাবাড়ি গ্রামের মফেজ আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলামের বড় ভাই রবিউল মিয়া সাংবাদিকদের জানান, বুধবার আমার ভাই শফিকুল ইসলামের সাথে ডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বার কামাল হোসেনের শ্যালক আরিফ মিয়ার সাথে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এটি সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে আজ (বৃহস্পতিবার ৬ জুলাই) দুপুরে কামাল মেম্বার ফোন করে শফিকুলকে জয়নগর গ্রামে যাওয়ার কথা বলে। পরে শফিকুল সেখানে যায়। এদিকে আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা আরিফ মিয়াসহ কামাল মেম্বারের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ভাইকে কুপিয়ে বাম হাতের কবজি কর্তনসহ এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তারা পালিয়ে যায়।
অভিযুক্ত কামাল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার শ্যালক আরিফ ঘটনাটি ঘটিয়েছে সত্য। তবে আমি এর সাথে কোনোভাবেই জড়িত নই। বরং আমি স্থানীয় শামীম নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে শফিকুলকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
এ ব্যাপারে ডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবের উল হাই বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর নিয়েছি। যতটুকু জানতে পেরেছি, আরিফ ও শফিকুল উভয়ই মাদকসেবী। সম্ভবত মাদককে কেন্দ্র করেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তবে এখনো থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত