৬ আগস্ট, ২০২৩ ১৫:১৪

কুতুবদিয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বাড়ছেই

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি

কুতুবদিয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বাড়ছেই

প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় প্রতিনিয়ত পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বেড়েই চলছে। এ উপজেলায় ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত পুকুরের পানিতে ডুবে ১১৫ জন শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জুলাই মাসেই পানিতে ডুবে যাওয়া চার শিশুকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এদের সবাই স্পট ডেথ ছিল। অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণেই ব্যাপক হারে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, পরিবারের অভিভাবকদের অসচেতনতা ও অধিকাংশ বাড়ির পাশে বড় বড় পুকুর থাকার কারণে শিশুর মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই উপজেলায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু যেন থামছেই না।

উত্তর লেমশীখালী ইউনিয়নে গত ১৪ জুলাই পুকুরের পানিতে ডুবে শিশু গুরা মিয়া মারা যায়। তার বাবা মো. কাইসার উদ্দিন বলেন, তার পুত্র শিশু গুরা মিয়া বাড়ির উঠানে খেলতে গিয়ে পাশের একটি পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়। শিশু সন্তানদের এ রকম ঘটনা থেকে উত্তরণের জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। কোনো বাবা-মা তাদের শিশু সন্তানকে বাড়ির উঠানে খেলতে দিলে তাদের একটু নজরে রাখার অনুরোধ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা নাদিম বলেন, উপজেলায় গত ২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত পুকুরের পানিতে ডুবে ৮৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০২২ সালে ৫৯ জন এবং ২০২৩ সালে জুলাই পর্যন্ত ৩০ জন শিশুর মৃত্যু হয়। এ অস্বাভাবিক ঘটনা থেকে রেহাই পেতে প্রত্যেকটি পরিবারের বাবা-মাকে তাদের শিশু সন্তানদের গুরুত্ব সহকারে নজরে রাখতে হবে। বাড়ির আশপাশে পুকুর ডোবা-নালা থাকলে একা কোনো শিশুকে বাড়ির উঠানে খেলতে না দেওয়ায় ভালো হবে। বাবা-মা একটু সচেতন হলেই পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর সংখ্যা কমবে বলেও মনে করেন তিনি।

বিশিষ্টজনরা জানান, জনসচেতনতার অভাবে শিশুর মৃত্যু বেড়ে চলেছে। পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশুদের সিংহভাগই ১ থেকে ৫ বছরের নিচে। এসব শিশুরা মায়েদের বা অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে থাকার কথা। মা-বাবার অবহেলা আর সচেতন না থাকায় এত বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। বাড়ির পুকুরগুলোতে নিরাপত্তা বেষ্টনী-বেড়া থাকা জরুরি। এ ছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিশুবান্ধব বিভিন্ন সংগঠনের এগিয়ে আসা উচিত। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় মসজিদ, মন্দিরসহ সরকারি ও বেসরকারিভাবে শিশু ও অভিভাবকদের ওপর শিশুদের পথ চলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানোর দাবি সচেতন মহলের।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর