শিরোনাম
- উন্নয়নের আড়ালে কালো অর্থনীতির উদ্ভব
- বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের মা-বাবাদের কী জবাব দেব: প্রধান উপদেষ্টা
- সিদ্ধিরগঞ্জে ৪০ কেজি পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ
- সন্তানদের ছবি হাতে হাসপাতালে ঘুরছেন বহু স্বজন
- পশ্চিমবঙ্গে ভাষা আন্দোলনের ডাক মমতার
- নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
- পরকীয়া সন্দেহে স্বামীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে খুন
- ব্রিতে বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ
- পিআর পদ্ধতির নির্বাচন ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করবে : তারেক রহমান
- সাগরিকার গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে বাংলাদেশ
- সোনারগাঁয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
- অবশেষে উড়তে যাচ্ছে ভারতে আটকে থাকা ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান
- চট্টগ্রামে বরফকলে গ্যাস লিকেজে শ্রমিকের মৃত্যু
- বিমান বিধ্বস্তে হতাহত : মঙ্গলবার দেশব্যাপী বিএনপির দোয়া মাহফিল
- আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন প্রধান উপদেষ্টা
- নিখোঁজের ৫ দিন পর কৃষকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
- এনসিপির দুই দিনের সব কর্মসূচি স্থগিত
- বগুড়ায় ড্রাইভিং ও পোষাক তৈরির প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন
- ফেনীতে ফের বন্যা, আতঙ্কে মানুষ
- ‘দুর্নীতির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে’
স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
নাটোর প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন

নাটোরের লালপুরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও অপর একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল। রবিবার দুপুরে ট্রাইবুন্যালের বিচারক (দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন। একইসাথে আসামিদেরকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা ভুক্তভোগী নারী পাবেন।
আসামিরা হচ্ছে নাটোরের লালপুর উপজেলার পোকন্দা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মো. সুমন (২৬) ও সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার ধানকুন্টি গ্রামের আফছার আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৩)।
জানা যায়, রবিবার দুপুরে এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিচারক রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ পড়ে শোনান। তিনি আসামি মো. সুমনকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে দোষি সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সময় বিচারক রফিকুল ইসলামকে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণে সহযোগিতার দায়ে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের কড়া পাহারায় নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদির মেয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ালেখা করতো। তার মেয়ে নিজ ঘরে পড়ালেখা করাকালে ২০১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধা সাড়ে সাতটার দিকে আসামি মো. সুমন একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস নিয়ে বাড়ির সামনে আসে। সে এবং তার সাথে থাকা লোকজন বাদির বাড়িতে ঢুকে জোরপূর্বক তার মেয়েকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে করে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার ধানকুন্টি গ্রামের রফিকুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা মো. সুমনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় মামলা করেন। তদন্তকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা লালপুর থানার উপ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেন এবং আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। আদালত মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্য প্রমাণে আসামিরা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করেন।
ট্রাইবুন্যালের সরকারি কৌঁসুলি আনিছুর রহমান দন্ডাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্ক একজন স্কুলছাত্রীকে প্রকাশ্যে অপহরণ করে বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছিল। সাক্ষ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আসামিদেরকে সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন আদালত। এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে রায় ঘোষণার পর আসামিরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর