বরিশালের গৌরনদীতে পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে নিখোঁজের পর রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে পড়ে কারো মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গৌরনদী থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন।
মৃত সালাউদ্দিন প্যাদা (৩৫) গৌরনদী পৌর শহরের দিয়াসুর এলাকার মৃত জব্বার প্যাদার ছেলে। ইতিপূর্বে মাদকে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কারাভোগ করেছিলেন তিনি।
সালাউদ্দিনের চাচা মাওলানা আবদুল হাকিম প্যাদা জানান, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দিয়াসুর এলাকার বাসা থেকে বের হয় সে (সালাউদ্দিন)। এর কিছুক্ষন পর দিয়াসুর এলাকায় পালরদী নদীতে কিছু একটা ঝাঁপিয়ে পড়ার শব্দ পান স্থানীয় জাকির ব্যাপারী ও রুবেল ব্যাপারী। তারা টর্চের আলোতে বিষয়টি ভালোভাবে পর্যবেক্ষনের সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ দেখতে পান। পুলিশ তাদের (রুবেল ও জাকির) সেখান থেকে চলে যেতে বলে। সালাউদ্দিন নিখোঁজের ঘটনায় পরদিন শনিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করে তার পরিবার। খবর পেয়ে শনিবার গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীরা পালদী নদীর বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালায়।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই নদীর মিয়ারচরে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। শুক্রবার রাতে পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে পরে সালাউদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার চাচা মাওলানা আবদুল হাকিম প্যাদা। এ ঘটনা তদন্ত করে বিচার দাবি করেন তিনি।
গৌরনদী থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে দিয়াসুর এলাকায় থানা পুলিশের কোন অভিযান ছিল না। পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে পরে সালাউদ্দিনের মৃত্যুর অভিযোগ সঠিক নয়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সালাউদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম