রাঙামাটিতে এখনো কমেনি পানি। পানিবন্দী রয়েছে হাজারো পরিবার। মানবতার জীবনযাপন করছে ৫টি উপজেলার মানুষ। অন্যদিকে বন্যার পানি ও পাহাড় ধসে এখনো বিধ্বস্ত আছে রঙামাটি খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি-কাপ্তাই-রাজস্থলী ও রাঙামাটি বান্দরবান সড়ক। ছোট ও হালকা যানবাহন চলাচল করলেও এখনো শুরু হয়নি ভারি যানবাহন চলাচল। এর চেয়ে বেশি নাজুক উপজেলার সড়ক পথ।
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের সাথে বিলিন হয়ে গেছে বেশিরভাগ সড়ক। একেবারে অস্তিত নেই সড়কের। এছাড়া পাহাড় ধসে বন্ধ হয়ে আছে অন্যান্য সড়ক। তবে যারা পানিবন্দী আছে তাদের জন্য ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় জেলা প্রশাসনের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। এখনো যেহেতু বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে পাহাড় বাসিকে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলাগুলোতেও পাহাড়ি ঢলে অনেকের বসত ঘর ডুবে গেছে। তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তবে কিছু কিছু ইউনিয়ন থেকে নামছে পানি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করতে সময় লাগবে।
অন্যদিকে সড়ক ও জনপদ এরই মধ্যে শুরু করেছে সড়ক সংস্কার কাজ। ভাঙা সড়কে লাল পতকা ও পলিতিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী দীপেন চাকমা জানান, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল এখন স্বাভাবিক। তবে আঞ্চলিক সড়কগুলোর কাজ চলছে। রাঙামাটি কাপ্তাই আসামবস্তি সড়ক। রাঙামাটি খাগড়াছড়ি- সাজেক- বাঘাইহাট সড়কগুলোর কাজ চলছে। বৃষ্টিপাত কমলে মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল