বান্দরবানের শহরের সাথে এখনো বিচ্ছিন্ন চিম্বুক-রুমা-থানচি সড়ক। পায়ে হেঁটে পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে আপাতত টিকে আছে ওই উপজেলাবাসী। স্থবির হয়ে পরেছে অনেকের জীবনমান। সড়ক যোগাযোগ না থাকায় থমকে আছে উপজেলাগুলোর হাট-বাজার।
কৃষকরাও তাদের জুমের উৎপাদিত সবজি বাজারজাত করতে পারছে না শহরে। এ দিকে এখনো থেমে থেমে অব্যাহত আছে ভারি ও মাঝারি বৃষ্টিপাত। অন্যদিকে আবারও টানা বৃষ্টিপাতের শংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অফিসও। এতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে ছিহ্নভিন্ন হয়ে গেছে বান্দরবানের চিম্বুক-রুমা-থানচি, মিলনছড়ি, নীলগিরি পোড়া বাংলা সড়ক। তাই বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল। জীবন ও জীবিকার তাগিদে অনেকেই পায়ে হেঁটে পাড়ি দিচ্ছে এসব পাহাড়ি পথ।
স্থানীয়রা জানায়, পাহাড় ধসের কারণে সড়কে কোনো ধরনের গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।
টংগাবতি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইয়াং রুং ম্রো বলেন, রুমা উপজেলার গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ও টংগাবতি ইউনিয়নে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্ত এলাকায় সড়ক ভেঙে গেছে। এ সড়কের কারণে চিম্বুক পাহাড় ও আশেপাশের এলাকার প্রায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ দৈনন্দিন কাজে ভোগান্তিতে পরছে। সড়ক ভাঙা থাকায় একজন মুমূর্ষু রোগীকে চিকিৎসার জন্য বান্দরবান সদরে নিয়ে যাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে এরই মধ্যে সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। বৃষ্টিপাতের কারণে কাজের কিছুটা সমস্যা হলেও কাজ এগিয়েছে কিছুটা বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন বাংলাদেশের (২০ ইসিবি) ওয়ারেন্ট অফিসার রাহুল হাসান পার্থ। তিনি বলেন, বান্দরবান থেকে রুমা, চিম্বুক-নীলগিরি-থানচি সড়কটি দ্রুত যান চলাচল উপযোগী করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। পরিবেশ পরিস্থিতি ঠিক থাকলে দ্রুত মেরামত কাজ শেষ হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল