আবারও তিস্তা নদীর পানি ফুলে ফেঁপে উঠেছে। উজানের ঢল এবং অতি ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর অববাহিকা, চর, দ্বীপচরে রেড এলার্ট জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে , সোমবার সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে করে রংপুরে গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, ও পীরগাছার নদীর অববাহিকা ও চর, দ্বীপচরের পানি ঢুকে পড়েছে। চরের অনেক আমনের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে সকাল ৯টায় কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার, তালুক শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ১ দশমিক ৪ মিটার, দুধকুমার নদীর পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৯০ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ইতোমধ্যেই কিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। নদীর তীরে থাকা অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে গবাদী পশু নিয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। ডালিয়া ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে পানি নিস্কাষনের জন্য।
লহ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, আমার ইউনিয়নের প্রায় সবগুলো ওয়ার্ড নদীবেষ্টিত। ইতোমধ্যে শংকরদহ, ইচলী, জয়রামওঝাসহ বিভিন্ন গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। নদী পাড়ের মানুষদের পানি বৃদ্ধির তথ্য পৌঁছে দিয়েছি। বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হলে দূর্গতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, উজানে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত এ পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এএম