বগুড়ার শিবগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে বহন করা দুইটি ভারতীয় পিস্তলসহ ছামিউল মিয়া (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে শিবগঞ্জের মুরাদপুরে বুড়িমারি টু নারায়নগঞ্জগামী পরিবহন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তার কাছ থেকে দুটি ৭.৬৫ সচল বিদেশী পিস্তল, চারটি ম্যাগজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া ছামিউল লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার পশ্চিম দিঘলটারী গ্রামের সুরত আলীর ছেলে।
বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চেকপোস্ট বসিয়ে বুড়িমাড়ী থেকে ছেড়ে আসা নারায়নগঞ্জগামী পরিবহনের একটি বাস থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ছামিউল ঐ বাসের জি-১ সিটে বসা ছিল। টের পেয়ে বাসের জানালা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করে পুলিশ। একপর্যায়ে তার দেহ তল্লাশি করলে দুই পায়ের উরুতে বিশেষ কৌশলে কসটেপ দিয়ে মোড়ানো পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়। অস্ত্রগুলো ভারতে তৈরি এবং সচল। ছামিউল রাজধানী ঢাকায় পাচারের উদ্দেশ্যে অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ছামিউল লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার উত্তর গোবদা গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে মো. জয় নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
সুদীপ চক্রবর্ত্তী আরও জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে অস্ত্রের উৎস ও প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করতে তদন্ত চলমান রয়েছে। ঢাকায় কি কারণে এই অস্ত্রগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ সবগুলো বিষয় নিয়ে কাজ করছে। যেহেতু বগুড়ার সাথে সীমান্তবর্তী সব জেলার মহাসড়কে চেকপোস্ট আরও জোড়দার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার, আব্দুর রশিদ, মোতাহার হোসেন, শরাফত ইসলামসহ শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ ও মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আশিক ইকবাল।
বিডি প্রতিদিন/এএম