কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ধর্ষণচেষ্টা মামলা দায়ের করার পর আসামি ইমাম হোসাইনকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করেছেন তিনি। আজ বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার সকাল ৬টার দিকে সাত বছর বয়সের শিশুটি স্থানীয় মসজিদের মক্তবে আরবি পড়তে যায়। পড়া শেষে ইমাম হোসাইন তাকে ফুসলিয়ে মসজিদের বারান্দার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। শিশুটি চিৎকার করলে ইমাম হোসাইন তার মুখ চেপে ধরে এবং বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেন। গত মঙ্গলবার সকালে শিশুটি আরবি পড়তে পুনরায় মক্তবে গেলে ইমাম হোসাইন তাকে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে এবং বিষয়টি তার মাকে জানায়।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকালে হোসেনপুর থানায় একটি ধর্ষণচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পরে হোসেনপর থানা পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৬টার দিকে হোসেনপুর উপজেলার দক্ষিণ মাধখলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করে।
আসামি ইমাম হোসাইন হোসেনপুর উপজেলার মেছেড়া পশ্চিমপাড়া এলাকার নাজিম উদ্দিন ও হাজেরা খাতুন দম্পতির ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম এবং সকালে মসজিদের মক্তব্যে শিশুদেরকে আরবি পড়ান।
বিডি প্রতিদিন/এএ