মুন্সীগঞ্জের চাঞ্চল্যকর কিশোরী লায়লা আক্তার লিমুকে (১৭) হত্যার রায় প্রদান করেছেন আদালত। রায়ে মো. খোকন (৩৫) নামের এক যুবককে মুত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন মুন্সীগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ ফাইজুন্নেসা।
একই সাথে লাশ গুম করার দায় ২০১ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৭ হাজার টাকা জরিমানার রায় প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত খোকন দুই সন্তানের জনক। তিনি সিরাজদিখান উপজেলার পাউসার গ্রামের বাবুল মিয়ার পুত্র।
খোকন গ্রেফতারের পর আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে বলেন, তিনি তার মালিকানাধীন বাডৈখালী বাজারের চান সুপার মার্কেটে দর্জি দোকানে আটকে রেখে রাতে লিমুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে পাশের ইছামতি নদীতে ফেলে দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট লাবলু মোল্লা জানান, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী বাজারে চাঁন সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় 'দর্জি ঘর' এ ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট বিকালে মা হারা কিশোরী লিমু পোশাক বানাতে যায়। আসামি মো. খোকন সেখানে কৌশলে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে পাশের ইছামতি নদীতে ফেলে দিয়ে গুম করে। ঘটনার তিন দিন পর ৩১ আগস্ট লাশ উদ্ধারের পর সন্দেহজনক খোকনকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে সোপর্দ করে। তার দোকানে জমাটবদ্ধ রক্তও দেখা যায়।
লিমুর বাবা বাড়ৈখালী গ্রামের আব্দুল মতিন বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনা প্রায় ৩ বছর পর বাদী মৃত্যুবরণ করেন। পরে লিমার বড়ভাই রিপন মিয়াসহ মোট ২০ জন সাক্ষ্য এবং আসামির সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের পর এই রায় প্রদান করা হয়। জনাকীর্ণ আদালতে রায়ের সময় আসামি কান্নায় ভেঙে পরেন।
আসামির বাবা বাবুল মিয়া জানান, এই রায়ের ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তারা। অন্যদিকে, আদালতে উপস্থিত নিহত লিমুর বড় ভাই রিপন মিয়া ও ফুফু নাসিরন বেগম এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ