কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মিঠু।
আনিসুর রহমান মিঠু জানান, নির্বাচনের জন্য তিনি বুড়িচংকে উপযুক্ত জায়গা মনে করেন। তার বাবা-দাদা-নানা সকলের বাড়ি বুড়িচংয়ে। তার পৈতৃক এলাকা বুড়িচং। তার দাবি তিনি যখন কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন তখন থানা কমিটিলো ভালো ছেলে দিয়ে করেছেন। তাই বুড়িচংকেই উপযুক্ত মনে করেন তিনি।
আনিসুর রহমান মিঠু বলেন, ইউনিয়ন কমিটিগুলো আমার মতো করে ভালো ভালো নেতৃবৃন্দকে সামনে এনেছি। তারা এখন যুবলীগ ও আওয়ামী লীগরে নেতৃত্বে আছে। এরাই এখনও গুরুত্বপূর্ণ সেখানে। বুড়িচংয়ে সকল সমস্যা সমাধানে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম। আব্দুল মতিন খসরু সাহেবের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিলো। বুড়িচংয়ের বহু রাজনৈতিক নেতার জীবনে আমার ব্যক্তিগত ভূমিকা রয়েছে। বুড়িচংয়ের প্রতিটি সমস্যায় আমি উপস্থিত থেকে কাজ করেছি। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আমি বুড়িচং সদরে বাজারে বসে থেকে যে সমস্ত প্রার্থীরা আমাদের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার একদলীয় নির্বাচনকে সফল করতে প্রার্থী হয়েছিলো তাদের সকলের মাইক প্রচারযন্ত্র ইত্যাদি আমি বন্ধ করেছি। নির্বাচন সেখানে করতে দেইনি। বুড়িচংয়ের কিংবদন্তী ছাত্রনেতা রেজাউল করিম খোকনের অনেক অনেক সমস্যায় আমি সাথে ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, বুড়িচংয়ের সকল রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে আমি সব সময় জড়িত থাকতাম। যদিও আমি দাবি করতাম না যে, আমি এখানে রাজনীতি করতে চাই। কারণ আমার ইচ্ছা ছিলো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে বা তখন পৌরসভা ছিলো সেখানে নির্বাচন করবো। তবে এমপি হওয়ার জন্য বুড়িচংকে আমার উপযুক্ত জায়গা মনে করি। বুড়িচংয়ের মানুষরা অন্য এলাকার মানুষের মতো না। বুড়িচংয়ের মানুষরা ভালো মন্দ বুঝে ভোট দিতে জানে। যোগ্য নেতৃত্ব চিনতে জানে।
মিঠু বলেন, আমাকে সেখানে মনোনয়ন দিলে আমার পাস করা সহজ হবে। সেখানকার আওয়ামী লীগ এখন বহুধা বিভক্ত। একজনকে দিলে বাকি সবাই সেই প্রার্থীকে ফেল করানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। প্রতিটা প্রার্থীর একই অবস্থা। একজনের সঙ্গে অন্যের গ্রুপিং এতো ভয়ঙ্কর পর্যায়ে যে, সেটা কল্পনা করার মতো না। আমি সেখানে এখন সরাসরি রাজনীতি শুরু না করার কারণে আমার নিজস্ব কোনো গ্রুপ সেখানে নেই। আমি সেখানে যারা যোগ্য তাদের যোগ্য বলি। আমি চাই সেখানে যে দ্বন্দ্ব আছে সেগুলো কমে আসুক।
এই অবস্থায় সেখানকার বিবাদমান গ্রুপের কোনো একটি গ্রুপের মালিককে নমিনেশন দেওয়া হবে আত্মঘাতী। কিন্তু আমাকে মনোনয়ন নিলে সেখানে এক হওয়ার একটা জায়গা থাকবে। আমি সংগঠন করেছি। সাংগঠনিক কাজ করতে ভালোবাসি। আমি প্রমাণ করেছি আমি এটা পারি।
তিনি বলেন, বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার প্রধান প্রধান সড়কগুলির উপর অনেক অনেক বাজার। যানজট লেগে থাকে। এই যানজটের অবসান আমি করতে চাই। পাশাপাশি সেখানকার খালগুলি দখল হয়েছে। এই খালগুলি আমি উদ্ধার করতে চাই। গ্রামকে শহরের মতো করে গড়ে তুলতে পারিকল্পনা মাফিক কাজ করতে চাই। বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া এখনও পৌরসভা হয়নি। আমি দায়িত্বে আসতে পারলে স্বল্প সময়ের মধ্যে দুটি পৌরসভা তৈরি করবো।
বিডি প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন