ঝালকাঠিতে অস্ত্র মামলায় আল আমিন খান (৩৪) নামে এক যুবককে ২২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠি বিশেষ ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক ও জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। আল আমিন বরিশাল বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল এলাকার আবুয়াল খানের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সেরেস্তাদার মো. রুস্তম আলী। রায় ঘোষণার সময় আসামি আল আমিন আদালতে উপস্থিত ছিল।
সরকারি কৌশুলী আবদুল মান্নান রসুল বলেন, মামলার রায়ে আদালতের বিচারক ১৯৭৮ সালের পৃথক দুটি ধারায় আলাদাভাবে ২২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। এরমধ্যে ১৯ এর (এ) ধারায় ১২ বছর এবং ১৯ এর (এফ) ধারায় ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে আসামির সর্বোচ্চ ১২ বছর কারাবাসের মেয়াদ শেষ হলেই রায় কার্যকর হয়ে যাবে।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৯ মে রাত ৮টার দিকে বরিশাল র ্যাব-৮ এর একটি দল ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া জিরো পয়েন্ট এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায়। এ সময় আসামি আল আমিনকে সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে আটক করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে আমেরিকার তৈরি একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন আল আমিনকে আসামি করে র ্যাব-৮ এর ডিএডি শেখ আমিনুল ইসলাম নলছিটি থানায় বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নলছিটি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. সোলায়মান মাহমুদ একই বছরের ৩১ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত পরের মাসের ১ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আদালতের বিচারক ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এ রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌশুলী আবদুল মান্নান রসুল। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী নাসির উদ্দিন কবির।
বিডি প্রতিদিন/এএ