চলতি বছরের শুরুর দিকে কোরীয় সীমান্ত অতিক্রম করে প্রবেশ করা মার্কিন সেনা ট্র্যাভিস কিংকে ফেরত পাঠিয়েছে (প্রত্যর্পণ) উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি বুধবার জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ ট্রাভিস কিংকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছে।
খবরে বলা হয়, তিনি অবৈধভাবে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশের কথা স্বীকার করেছেন। মার্কিন সেনাবাহিনীর মধ্যে ‘অমানবিক দুর্ব্যবহার ও জাতিগত বৈষম্যের খারাপ অনুভূতি’র সান্ত্বনা খুঁজছিলেন তিনি।
আল জাজিরার খবর অনুসারে, তদন্ত শেষ করার পর উত্তর কোরিয়ার প্রাসঙ্গিক আইনের অধীনে মার্কিন সেনাবাহিনীর সৈনিক ট্রাভিস কিংকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেই। বর্তমান ওই সেনাকে চীনে মার্কিন সেনাদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার এক সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, পিয়ংইয়ং বহিষ্কার করার পর চীনে মার্কিন হেফাজতে নেওয়া হয়েছে ট্রাভিসকে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি কারাগারে আটক ছিলেন ট্রাভিস কিং। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল। এজন্য ঘটনার এক সপ্তাহ আগে তাকে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা ঘাঁটি ক্যাম্প হামফ্রেস থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার বিমানে আর ওঠেননি। দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেন বিমানবন্দরের কাস্টমস থেকেই হঠাৎ উধাও হয়ে যান।
কোনোভাবে তিনি টার্মিনাল থেকে বেরিয়ে উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়ায় (জেএসএ) সীমান্ত সফরে যোগ দেন। যা বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দূরে। ওই সফরের সময়ই সীমান্ত অতিক্রম করেন তিনি। এর পর থেকে তার সঙ্গে কারও কোনো যোগাযোগ হয়নি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল