মানিকগঞ্জে বিলকিছ আক্তার (২৩) নামের এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সকালে মানিকগঞ্জ পৌরসভার বৈতরা এলাকার মো. সুমন হোসেনের বাড়ি থেকে কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কলেজছাত্রী ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের হাটকুড়িয়া গ্রামের মো. বাবু মিয়ার মেয়ে। বিলকিছ মানিকগঞ্জ মহিলা কলেজের ছাত্রী। তার জন্মের কয়েক বছর পর বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। প্রায় ১০ বছর ধরে মা ও মেয়ে বৈতরা সুমন হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। এখান থেকে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে প্রবাসে চলে যান বিলকিসের মা। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।
বাড়ির মালিক মো. সুমন হোসেন জানান, প্রায় ৪ বছর আগে সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের মেঘশিমুল গ্রামের সোহেলের সঙ্গে বিয়ে হয় বিলকিছের। বিলকিছের মা বিদেশ থাকলেও ঘর ছাড়েন নাই। তিনি প্রতি মাসেই ভাড়া দিতেন। প্রায় দেড় মাস আগে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এই ভাড়া বাড়িতে আসেন বিলকিছ। এখান থেকেই তিনি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। এর মাঝে স্বামীর পরিবারের লোকজন তাকে নিতে আসছিলেন। তখন বিলকিছ আর স্বামীর বাড়িতে যাবেন না বলে জানিয়ে দেন।
স্থানীয়রা জানান, বিলকিছের সঙ্গে অন্য এক ছেলের সম্পর্ক ছিল। এ কারণে স্বামীর সংসার ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। গত রাতের কোনো এক সময় বিলকিছ ঘরের ফ্যানের রডের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। ফাঁস দেওয়ার আগে সে তার প্রেমিকের সাথে ইমুতে কথা বলেন। স্থানীয়দের ধারণা, তার প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া করে তাকে ভিডিও কলে রেখে তিনি আত্মহত্যা করেছে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, মানিকগঞ্জ সদরে বিলকিছ আক্তার (২৩) নামের এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার আগে তিনি তার প্রেমিকের সাথে ইমুতে কথা বলেন। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মোবাইল ফোনটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম