পটুয়াখালীর বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীতে মা-ইলিশ সংরক্ষণ করতে স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তেতুলিয়া নদীর ধুলিয়ার উত্তর সীমানা হতে কেশবপুর, নাজিরপুর, চন্দ্রদ্বীপ, কালাইয়া ইউনিয়নের দক্ষিণে দশমিনা উপজেলার উত্তরে বগির পাতির খাল পর্যন্ত ৪০ কিঃমিঃ এলাকা ও কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা নদী মা ইলিশের প্রজননের অভয়ারণ্য হিসাবে সরকার ঘোষিত আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর ২২ দিন নিরাপদ রাখতে করনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সারে ১২টায় ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সহযোগিতায়, বাউফল উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত, বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম নিশু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রদীপ কুমার কুন্ড, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামসুল আলম মিয়া, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহাবুবা বেগম, সাবেক প্রেসক্লাব সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য হারুন অর রশিদ খান, কাছি পাড়া, ধুলিয়া, চন্দ্রদ্বীপ ও কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ, বাউফল প্রেস ক্লাব সভাপতি কামরুজ্জামান বাচ্চু, কালাইয়া, বগা ও কালীশুরী পুলিশ ফাড়ি ইনচার্জগণ ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জেলে প্রতিনিধিগণ। সভা সঞ্চালনা করেন বাউফল উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম তালুকদার।
সভায় জানানো হয়, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ, একটি মা ইলিশ ২০ লক্ষ ডিম দেয়। তাই এ সম্পদ রক্ষায় আগামী ১১ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে তেতুলিয়া নদীর বাউফল উপজেলার সীমার মধ্যে সকল প্রকার মাছধরা ট্রলার-নৌকা চলাচল, ইলিশ মাছ শিকার, ক্রয়- বিক্রয়, পরিবহন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এবং সকল বরফ কলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।বিডি প্রতিদিন/এএ