বরিশালের গৌরনদীতে খেয়া পারাপারের টোল ঘরে রাতভর আটকে রেখে এক গৃহবধূকে (২০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতের মা (মুলাদী উপজেলার চর নাজিরপুর গ্রামের নারী) বাদী হয়ে ৩ জনের নামোল্লেখসহ ৬ জনকে আসামি করে গত শনিবার রাতে গৌরনদী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হল- গৌরনদী উপজেলার শরিকল ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামের জামাল হাওলাদার (৩৮), একই গ্রামের রহমান হাওলাদার (৩৬) ও খেয়া ঘাটের মাঝি মিরাজ মৃধা (৪৫) এবং অজ্ঞাতনামা ৩ জন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ সাহেবেরচর গ্রামের অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি রহমান হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার বাদীর অভিযোগ, তার মেয়ে গৌরনদী উপজেলার মিয়ারচর গ্রামের গৃহবধূ (২০) নানা বাড়ি কুতুবপুর গ্রাম থেকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে মুলাদীতে বাবাবর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাহেবেরচর (হোসনাবাদ) বাজার খেয়া ঘাটে গিয়ে খেয়া না পেয়ে টোলঘরে খেয়া নৌকার জন্য অপেক্ষা করছিল। খেয়া মাঝি মিরাজ মৃধা তার মেয়েকে পারাপার না করে টোল ঘরে বসিয়ে রাখে। ওইদিন রাত রাত সাড়ে ১০টা থেকে টোল ঘরে আসামিরা ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক তার মেয়েকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
গৌরনদী থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিতের মা বাদী হয়ে ৩ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩ জনকে আসামি করে গত শনিবার (৭ অক্টোবর) রাতে গৌরনদী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভূক্ত আসামি রহমান হাওলাদারকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতকে রবিবার দুপুরে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নির্যাতিতকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম