২৫ অক্টোবর, ২০২৩ ১৭:৩০

ঘূর্ণিঝড়ে চকরিয়া-পেকুয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, নিহত ১

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড়ে চকরিয়া-পেকুয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, নিহত ১

ঘূর্ণিঝড়ে চকরিয়া-পেকুয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুই উপজেলায় ২৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার অন্তত সাতশত কাঁচাঘর ভেঙে গেছে। উপড়ে গেছে গাছপালা। পানির তোড়ে ব্রিজ ও কালভার্ট ভেঙে ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ৫০-৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিনের চালা উপড়ে যায়।

মঙ্গলবার রাতে হামুনের ঘণ্টাব্যাপী দমকা হাওয়ায় এই ব্যাপক ক্ষতি হয়। একইভাবে দমকা হাওয়ার পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে একাধিক সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া বিদ্যুতের শতাধিক খুঁটি উপড়ে ও ভেঙে বিদ্যুৎ নেই দুই উপজেলায়। গাছ চাপা পড়ে বদরখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড গোরস্থান পাড়ার মোস্তাক আহমদের ছেলে আসকর আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় ঘরের উপর গাছপালা পড়ে ৩০-৩৫ জন আহত হয়েছে। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে, রাতে এক ঘণ্টার তাণ্ডবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ১০ স্থানে গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হয়। এ সময় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। দুর্ভোগে পড়ে পর্যটকসহ সাধারণ যাত্রীরা।

সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক জানান, চিরিঙ্গা-মানিকপুর সড়কের মানিকপুর ফাইতংছরা ব্রিজ ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, হামুনের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ক্ষতির বিবরণ লিখিত দিতে। সরকারি অফিসারদের নিয়ে গঠিত একাধিক টিম ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণে কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ৫ শত কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা বলেন, উপজেলার ৭ ইউনিয়নের অন্তত ২ শত কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে অধিকাংশ চিংড়ি ঘের। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ নেই। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে রাতে ভেঙে পড়া গাছপালা পরিষ্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর