৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১৪:৪০

মানিকগঞ্জে ধনে পাতা চাষে লাভবান চাষিরা

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:

মানিকগঞ্জে ধনে পাতা চাষে লাভবান চাষিরা

সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবার তৈরি করতে যতগুলি উপাদান লাগে তারমধ্যে ধনিয়া পাতা অন্যতম। বাজারে ভাল দাম এবং চাহিদা থাকার কারণে এবারো জেলায় প্রচুর ধনিয়া পাতার চাষ হয়েছে। সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী বরাঈদ, ফুকুরহাটি ও হরগজসহ বিভিন্ন এলাকায় ধনেপাতার চাষ হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় তিল্লী এলাকায়। এখানকার পাতার রং, মান এবং স্বাদ ভাল হওয়ায় দেশের গন্ডি পেড়িয়ে বিদেশে যাচ্ছে এখানকার ধনে পাতা। এর ফলে এখানকার পাতার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখানকার কৃষকরা অধিকহারে ধনে পাতার চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, শতশত নারী পুরুষ এই পাতা উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিবছর এই সময় ধনেপাতার ভরা মৌসুম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম বিক্রী করে কৃষক ও মহাজন উভয়ই লাভবান হয়েছেন। তবে মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় ফলন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কৃষক হবি (৫৫) ও মিনহাজ (৬৯) বলেন অল্প সময়ে বেশী লাভ হওয়ায় প্রতিবছর ধনিয়াপাতা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। ভাল ফলন হলে  এক বিঘার পাতা  পঞ্চাশ থেকে সত্তুর হাজার টাকায় বিক্রী করা যায়। কৃষক হবি বলেন চল্লিশ শতাংশ জমির ধনেপাতা চল্লিশ হাজার টাকা বিক্রী করেছি। এই পাতা বেপারিরা তুলে নিয়ে যাবার পর আবার আবার রোপন করা হবে। তিনি আরোও বলেন  মহাজনরা জমি থেকে ধনিয়াপাতা  তুলে নিয়ে যায়। মহাজন মোঃ পিয়ার আলী বলেন বত্রিশ বছর যাবৎ তিনি এই ধনেপাতার ব্যবসা করেন। তারা আটজন একত্রে মিলে এই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ধনেপাতা ক্রয় করে যাত্রাবাড়ী আড়তে বিক্রী করি। এখান থেকে পাতা চিটাগাং,কক্সবাজার,সিলেট সহ দেশের বাহিরে রপ্তানী হয়। প্রথমে বেশী দামে পাতা বিক্রি হয়েছে বর্তমানে এক মণ তিন চার হাজার টাকা দরে বিক্রী হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মানিকগঞ্জের পাতার রং গাঢ় সবুজ ও সুগন্ধ থাকার কারনে দেশব্যাপী এর ব্যপক চাহিদা রয়েছে। এ জেলারপাতা অবিক্রীত থাকে না। এই অসময়ে কাজের ব্যবস্থা হওয়ায় নারী পুরুষ সকলেই ব্যাস্ত সময় পার করছেন। নগদ টাকা হাতে পাওয়ায়  শ্রমীকরাও কিছুটা স্বস্থির নিঃস্বাস ফেলছে। ধনিয়া পাতা তুলতে আসা আসমা ও সেফালী  বলেন সংসারের কাজ শেষে প্রতিদিন দুইশত টাকা পাই।  এতে এলাকার শতশত নারি উপকৃত হচ্ছে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভাল হয়েছে।  জেলায় এবার সাড়ে পাঁচ শত হেক্টর জমিতে ধনিয়া পাতার চাষ হয়েছে। এখানে একাধিকবার ধনে পাতার চাষ হয়। এ বছর লক্ষ মাত্রার চেয়ে ধনেপাতা চাষ বেশি হবে। বাজারে ভাল দাম ও চাহিদা থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর