কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল থেকে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ট্রলার বিকল হয়ে জীবন রক্ষা হয়েছে দেড় শতাধিক রোহিঙ্গার। ওই ট্রলারে শিশু ও নারীসহ দেড়শত রোহিঙ্গা ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন। ট্রলারটি সাগরে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তিন দিন ধরে সাগরে ভাসমান অবস্থায় ছিল।
টেকনাফ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফের সমুদ্র উপকূলে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলার ভাসতে দেখে স্থানীয় বাংলাদেশি জেলেরা ট্রলারটি আটকে রাখে। পরে দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলেরা সাগরে ভাসমান ট্রলারকে টেনে টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের পাশে সৈকতে মহেষখালী পাড়া ঘাটে নিয়ে আসে পুলিশ ও কোস্ট গার্ডকে খবর দেয়। এরপর ট্রলারে থাকা রোহিঙ্গা শিশু ও নারীরা কান্নাকাটি করে ট্রলার থেকে নেমে পড়ে। পুলিশ ও কোস্ট গার্ড দল আসার আগেই ট্রলার থেকে নামা রোহিঙ্গারা সটকে পড়ে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জহীর আহমদ মোবাইলে জানান, সাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই মালয়েশিয়াগামী একটি ট্রলার ভাসমান দেখে জেলারা টেনে কূলে নিয়ে আসে। ট্রলারে দেড়শ মতো যাত্রী ছিল। সবাই বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বসবাসকারী। এদের মধ্য বেশির ভাগই নারী ও শিশু ছিল। ঘাটে ওই ট্রলারটি এখনো ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। তবে রোহিঙ্গারা যে যার মতো চলে গেছে। বিষয়টি পুলিশ ও প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, সাগরপথে মালয়েশিয়াগামী একটি যাত্রীবাহি ট্রলার টেকনাফে কূলে ফিরে আসার খবর শুনেছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাগর উপকূলে একটি খালি ট্রলার দেখতে পায় পুলিশ। তিনি জানান, পুলিশ পৌঁছার আগেই ট্রলার থেকে নেমে রোহিঙ্গারা সটকে পড়ে।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ কোস্ট গার্ডের স্টেশন কর্মকর্তা লে. কমান্ডার সোলেমান কবির জানান, এ ধরনের একটি সংবাদ আমরা পেয়েছি। ঘটনাস্থলে যাত্রীবিহীন ট্রলারের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আমার খোঁজ খবর নিচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/এএম