কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘আমি এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য দল গঠন করিনি। মানুষের সেবা করার জন্য দল করেছি। যতদিন বাঁচব মানুষকে সেবা করে যাবো ইনশাআল্লাহ। তাই আগামী ৭ তারিখে সবাই ভোট দিতে যাবেন। ভোট কেন্দ্রে যত ভোটার উপস্থিত হবে ততই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে এবং গণতন্ত্রের সম্মান বাড়বে। সেই সাথে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশেরও সম্মান বাড়বে।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সখীপুর মুখতার ফোয়ারা চত্বরে গামছা মার্কার পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, ‘আমাকে নিয়ে যে যত কথাই বলে বলুক, তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। ছেলে যদি পাগল হয়ে বাবাকে গালি দেয় তাহলে ছেলেরই ক্ষতি হবে। আমি যদি মুক্তিযুদ্ধের সময় রুখে না দাঁড়াতাম পাকিস্তানিরা যদি সখীপুর আসতো তাহলে কত সন্তান জন্মাতো যার বাবার পরিচয় থাকতো না।’
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, ‘আমি আটিয়াবন অধ্যাদেশ থেকে সখীপুরকে মুক্তি দিতে চাই। এখানে বনের সংসদীয় কমিটিকে নিয়ে এসেছিলাম। তারা সুপারিশ করেছিল যে যেখানে আছে সে সেখানে থাকবে, বন বিভাগ তাদের কোনো অত্যাচার করতে পারবে না। কাউকে মারধর করতে পারবে না। কিন্তু সে সুপারিশ আইনে পরিণত হয়নি। আমি যদি বেঁচে থাকি এই সখীপুরে সেই সংসদীয় কমিটির সুপারিশ আইনে পরিণত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।’
উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আয়োজনে আব্দুস ছবুর খানের সভাপতিত্বে এ পথসভায় বক্তৃতা করেন বেগম নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার কুড়ি সিদ্দিকী, সানোয়ার হোসেন সজীব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম সরকার লাল, ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন খান, আশিক জাহাঙ্গীর, আসলাম সিকদার নোভেলসহ অন্যান্য নেত-কর্মীরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল