২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৩০

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পাবনা, হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

পাবনা প্রতিনিধি

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পাবনা, হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

তীব্র গরমে মুখে পানি দিচ্ছেন একজন। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জেলার জনজীবন

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে গোটা পাবনা, অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জেলার জনজীবন। একদিকে তীব্র দাবদাহ অপরদিকে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে। 

এছাড়া, তীব্র তাপদাহে পাবনা শহরের রূপকথা সড়কে হিটস্ট্রোক করে একজন মারা গেছেন।  

অপরদিকে হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত বয়স্ক ও শিশু রোগীর সংখ্যা। পাবনায় শনিবার সর্বোচ্চ ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা পাবনা জেলায় চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন তাপমাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কয়েকদিন ধরেই পাবনায় ৪০ ডিগ্রি বা এর বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে এ বছর এতো তাপমাত্রা রেকর্ড হয়নি। ঈশ্বরদীসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। এ তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শুক্রবার উপজেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে, যা ঈশ্বরদীতে এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। কিন্তু আজকের তাপমাত্রা আরও বেশি।

তীব্র গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এই তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন শ্রমজীবী মানুষ। জীবন-জীবিকার তাগিদে তীব্র রোদে কাজ করতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষদের। বাইরে বের হওয়ার সময় অনেকেই ছাতা নিয়ে বের হচ্ছেন।

পাবনা শহরের বাসিন্দা শাহজাহান সাজু বলেন, গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড গরমে বিশেষ করে দুপুরের সময় রাস্তায় বের হওয়াই কষ্টকর হয়ে গেছে। তারপরও কাজের কারণে আমাদের বের হতে হচ্ছে। অতীতে এ ধরনের গরম দেখা যায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

এদিকে তীব্র দাবদাহে হিটস্ট্রোক করে একজন মারা গেছে। শনিবার দুপুরে পাবনা শহরের রুপকথা সড়কের একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন আশপাশের লোকজন তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ব্যক্তির নাম সুকুমার দাস (৬০)। তিনি পাবনার শহরের শালগাড়িয়া মহল্লার জাকিরের মোড় এলাকার বাসিন্দা। 

পাবনা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, শালগাড়িয়ার এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল লোকজন। তাকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন। আমরা অনুমান করছি প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক করে মারা গেছেন তিনি। পরে নিহতের পরিবার এসে মরদেহ নিয়ে গেছেন। 

তিনি আরো বলেন, হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে যতদূর সম্ভব তাপ এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। ডায়াবেটিস ও প্রেসারের রোগীদের রোদে না যাওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর