জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতের প্রতি শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা সৃষ্টিতে কাজ করেছে যে শিক্ষক সেই মীর জাহিদ স্যারকে জাতীয় পতাকা দেখিয়েই বিদায় দিলেন শিক্ষার্থীরা। ১৯৯১ থেকে ২০২৪ সাল ৩৫ বছর তিনি কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে চারুকলার শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। ১৮ই মে শনিবার ছিলো তার শেষ কর্মদিবস।
শিক্ষকতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যাতে দেশপ্রেমে আকৃষ্ট হয় নিরবিচ্ছিন্নভাবে তেমন কাজ করে গেছেন মীর জাহিদ।
তিনি শিক্ষার্থীদের জাতীয় সংগীতে আকৃষ্ট করেছেন। প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। জাতীয় পতাকা আঁকা শিখিয়েছেন। শিখিয়েছেন কাগজ ও কাপড় কেটে পতাকা তৈরি করা। তিনি শিক্ষার্থীদের দিয়ে জাতীয় পতাকা নিয়ে সাইকেল র্যালি করেছেন। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে নিজেদের তৈরি জাতীয় পতাকা নিয়ে অংশ নিয়েছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। জয়বাংলা জাতীয় স্লোগান প্রচারেও কাজ করেছেন মীর জাহিদ। শুধু নিজের স্কুলেই নয় বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে ক্লাস নিয়েছেন জাহিদ। মুজিবনগর, ঢাকাসহ অন্য এলাকাতেও গণজাগরণ সৃষ্টিতে করেছেন প্রদর্শনী।
তার শেষ কর্মদিবসে জাতীয় পতাকা দেখিয়ে বিদায় জানালো শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল ৯টার পরে পুরো স্কুল ক্যাম্পাস যেন পতাকায় ছেয়ে যায়।
খবর পেয়ে জাহিদকে বিদায় জানাতে আসেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। ফুলেল শুভেচ্ছায় শিক্ত হন প্রিয় শিক্ষক। বিদায় দিনে স্কুলে আয়োজন করা হয় মীর জাহিদের চিত্র প্রদর্শনী।
সিনিয়র শিক্ষক মীর জাহিদ বলেন, এখন আমার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল। এখন সময়ও বেশি পাবো। গণজাগরণ ও দেশপ্রেম সৃষ্টিতে কাজ করবো।
কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. এনামুল কবির বলেন, জাহিদ স্যার জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন। তার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যে আত্মিক সম্পর্ক তার বহি:প্রকাশ ঘটেছে। সব শিক্ষার্থী মাঠে নেমে আসেন। পতাকা দেখিয়ে স্যারকে সম্মান জানিয়েছেন। দেখে আমার ভালো লেগেছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল