নেত্রকোনার পূর্বধলায় নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ককটেল বিস্ফোরণসহ গাড়িতে করে অস্ত্রের মহড়ায় দফায় দফায় নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুরসহ কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে প্রশাসন। আহত দু’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়াও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এ ঘটনায় আনারস প্রতীকের প্রার্থীর আহত সমর্থক শুক্রবার রাতেই বাদী হয়ে স্থানীয় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন ও সাব্বির আহমেদ নামে একজনের নাম উল্লেখ করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-পূর্বধলা রাজপাড়া গ্রামের মো. জিন্নত আলী ফকিরের ছেলে মো. সোহান ফকির (১৫), পূর্বধলা রেল স্টেশনের বুকিং সহকারী আব্দুল মমিনের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ আল ছোহান (১৫) ও বড়রুহী গ্রামের মো. লাল মিয়ার ছেলে মো. কামাল হোসেন (৪০)।
পূর্বধলা বাজারে অস্ত্র মহড়ার অভিযোগে শুক্রবার রাতেই নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. খবিররুল আহসান তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে একটি মাইক্রোবাস, দুটি মোটরসাইকেলসহ তাদের তিনজনকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৯টি রামদা, চাইনিসসহ দুটি কুড়াল, ১০টি ক্রিকেট স্টাম্প উদ্ধার করে।
সত্যতা নিশ্চিত করে শনিবার দুপুরে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. খবিররুল আহসান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি একদম শান্ত রয়েছে। ভাঙচুরের খবর পেয়েই আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গাড়ি ও অস্ত্রসহ আটক করেছি। আগামী ২১ তারিখের নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে। ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাত করে প্রার্থীর সমর্থক মো. আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অন্যান্য আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই