গাজীপুরের কাপাসিয়ার রায়েদ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে রবিবার বোমা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে বিকেল তিনটা পর্যন্ত ওই কার্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং প্রশাসন, র্যাব ও পুলিশের তত্ত্বাবধানে বোমা সদৃশ একটি ডিভাইস উদ্ধার হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
জানা যায়, রবিবার সকালে উপজেলার রায়েদ ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের পরিচ্ছন্নকর্মী রেজাউল হক বিভিন্ন কক্ষে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছিলেন। এ সময় খাবারের কক্ষে বোমা সদৃশ কিছু একটা পড়ে থাকতে দেখে উমেদার মনির হোসেনকে বিষয়টি জানান। পরে তারা বিষয়টি উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন। সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম লুৎফর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত নূর মৌসুমী ঘটনাস্থলে হাজির হন। এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরিরিজম ইউনিটের বোমা নিষ্ক্রিয় করণ ইউনিটে সংবাদ দেওয়া হয়। পরে তাদের দলনেতা মো: মাহমুদুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বেলা পৌনে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বোমা সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করে।
ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশের কাউন্টার টেরিরিজম ইউনিটের বোমা নিষ্ক্রিয় করণ ইউনিটের দলনেতা মো: মাহমুদুজ্জামান জানান, উদ্ধারকৃত ডিভাইসটি প্রকৃতপক্ষে বোমা কিংবা ক্ষতিকর কোনো ডিভাইস নয়। একটি ভারি ওজনের পাওয়ার ব্যাংকের সঙ্গে মোবাইলের ব্যাটারি ও তার পেচিয়ে একটি মেমোরিকার্ড ও ক্যামেরার মতো কিছু একটা দিয়ে একটি ডিভাইস তৈরি করা হয়েছে যেখানে একটি সংখ্যা ভেসে উঠেছিল।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত নূর মৌসুমী জানান, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য কেউ এ বোমা সদৃশ ডিভাইসটি ফেলে রেখে গিয়েছিল বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ নিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তদন্ত করে এর সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর মিয়া জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি পাওয়ার ব্যাংক, ব্যাটারি, তার ও স্কচটেপ উদ্ধার করা হয়েছে। কাপাসিয়া থানা পুলিশ কর্তৃক আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বিডি প্রতিদিন/এএম