২৬ মে, ২০২৪ ১০:৪৮
ঘূর্ণিঝড় রেমাল

আতঙ্ক বাড়ছে উপকূলে, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

আতঙ্ক বাড়ছে উপকূলে, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ

পশুর চ্যানেল, মোংলার আকাশ

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার উপকূলজুড়ে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে।

আজ রবিবার সকাল থেকে মাঝে মধ্যে দমকা বাতাস ও ঝির ঝির বৃষ্টি হচ্ছে। লাল পতাকা টানিয়ে ও

মাইকিং করে সতর্কতা জানানো হচ্ছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ।

নদীতে পানির চাপ বাড়তে থাকায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের অনেক জায়গা দিয়ে চুইয়ে পানি ঢুকছে।

সুভদ্রাকাটি এলাকার জরাজীর্ণ বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে শনিবার রাতে এলাকাবাসী মেরামত করেন। যে কোনো সময় দুর্বল বেড়িবাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে প্লাবিত হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা।

খুলনার কয়রার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল জানান, ইউনিয়নের ঘড়িলাল থেকে চরামুখা খেয়াঘাট, খেয়াঘাট থেকে হলদিবুনিয়া পর্যন্ত বেশি ঝুঁর্কিপূর্ণ। নদনদীতে পানির চাপ বাড়লে নড়বড়ে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাপাউবো খুলনা পওর বিভাগ-২’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম জানান, কোথাও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের জন্য জিও ব্যাগ, সিনথেটিক ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে।

খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩টি মুজিবকেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবার, ওষুধ, ঢেউটিন ও নগদ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর