নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে দুরাকুটি মোড়ে ধাইজান নদীতে নির্মিত হচ্ছে ৫৮ মিটার দীর্ঘ ব্রিজ। বিকল্প কোনও সড়ক না থাকায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ লোহার সেতু দিয়ে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। এতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তারা। নির্মাণকাজ ২০২২ সালে শুরু হলেও চলছে ধীরগতিতে।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় অসংখ্য মানুষের চলাচলের একমাত্র পরিবহন ব্যবস্থা। জরাজীর্ণ বিকল্প সেতুটিও হুমকির মুখে রয়েছে। ভারী যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকায় যেকোনও সময় ভেঙে যেতে পারে বলে মনে করেন পথচারীরা।
ব্যবসায়ী ইয়ামিন কবির স্বপন বলেন, প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পথচারী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন যানবাহন। রংপুর নীলফামারীর একমাত্র যোগাযোগ সড়ক এটি। বাইপাস কোনও সড়ক ব্যবস্থা না থাকায় তীব্র যানজটে পড়তে হয় প্রতিদিন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঝুঁকিপূর্ণ বিকল্প ব্রিজের ওপর।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, পাকা সেতুটি নিমার্ণ হলে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হবে। সেই সঙ্গে গতি আসবে অর্থনীতিতে, বাড়বে জীবনযাত্রার মান।
নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন পাকা ব্রিজের নির্মাণকাজ চলছে। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজটি শেষ করার জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ব্রিজটির নির্মাণকাজ চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে শেষ হবে। নির্মাণকাজ শেষ হলে নীলফামারী থেকে কিশোরগঞ্জ হয়ে রংপুর যাতায়াতে সুবিধা হবে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ