বরগুনায় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) সুদেব কৃষ্ণ রায়কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। যৌতুক, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলায় সোমবার আদালতে হাজির হলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মশিউর রহমান খান এ আদেশ দেন। সুদেব কৃষ্ণ রায় বরগুনার তালতলী উপজেলার দক্ষিণ গাববারিয়া গ্রামের মিলন চন্দ্র রায়ের ছেলে।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৯ মে সুদেব কৃষ্ণ রায়ের সাথে বিয়ে হয় বরগুনা সদর উপজেলার দক্ষিণ মনসাতলী গ্রামের ক্ষিতীশ চন্দ্র সমাদ্দারের মেয়ে দিপ্তি সমাদ্দারের। বিয়ের সময় একটি বেসরকারি চাকরি করতেন সুদেব কৃষ্ণ রায়। পরে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। এ সময় স্ত্রীর বাবার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নেয় সুদেব। কিন্তু তা আর ফেরৎ দেয়নি।
মামলার বাদী দিপ্তি সমাদ্দারের অভিযোগ, এখন পর্যন্ত দুইবার তিনি সন্তানসম্ভবা হন। কিন্তু তার স্বামী সুদেব রায় সুকৌশলে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে। একপর্যায়ে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর সুদেব রায়ের গ্রামের বাড়ি দক্ষিণ গাববারিয়া অবস্থানকালে পুনরায় দিপ্তির বাবার কাছে ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে সুদেব। টাকা দিতে অস্বীকার করায় মারধরসহ নানাভাবে নির্যাতন করা হয়। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয় দিপ্তি।
এরপর গত পয়লা জানুয়ারি বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সুদেব কৃষ্ণ, বাবা মিলন চন্দ্র রায় এবং মাতা আরতী রানীর বিরুদ্ধে মামলা করে দিপ্তি সমাদ্দার। এ মামলায় সোমবার হাজির হলে আদালতের বিচারক সুদেবকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই