নাটোরের সিংড়ায় পৌর কাউন্সিলর মিজানুর রহমানকে মারপিট, সালিশে সংঘর্ষ ও কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় দুইটি মামলা হয়েছে। পৃথক মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন আহত কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের মা মোছাঃ মনোয়ারা বেগম। রাতেই অভিযান চালিয়ে তাজপুর ইউনিয়নের রাখালগাছা ভাটোপাড়া গ্রামের কুরবান আলী (৪০) ও পৌরসভার হাতিগাড়া এলাকার সাব্বির হোসেনকে (২৪) গ্রেফতার করে পুলিশ। একই রাতে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে পৃথক মামলা দায়ের করেন ২২ জুলাই সালিশে সংঘর্ষে আহত মানিকের মা মোছাঃ মনোয়ারা ওরফে রুবিয়া বেগম। এ মামলাতেও অপর মামলার আসামি কুরবান আলী ও সাব্বির হোসেনসহ আরিফ নামের আরেকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, পৌর যুবলীগ কর্মী বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে গত ২৪ জুলাই বুধবার রাত ৯টায় সিংড়া পৌর শহরের দমদমা স্লুইসগেট এলাকায় ৮-১০ জন লোহার রড দিয়ে কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের হাত, পা ও মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। কাউন্সিলরের হাত-পা ও মাথায় আঘাত রয়েছে। এর মধ্যে মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আর দুই হাতের চার জায়গায় ভাঙা পাওয়া গেছে।
এর আগে গত ২২ জুলাই সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর দমদমা এলাকায় একটি সালিশ বৈঠকে দুপক্ষের সংঘর্ষে পাঁচ যুবক ছুরিকাঘাতে আহত হন। এসময় ভাঙচুর করা হয় ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পৌর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানের কার্যালয় এবং খড়ের পালায় আগুন দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে দুর্বৃত্তরা।
সিংড়া থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, কাউন্সিলরকে মারপিট ও সালিশে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় গত রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ