যৌতুক না পেয়ে আনোয়ারা খাতুন নামের এক নারীকে মারপিট করে তার মাথার চুল কেটে দিয়েছেন তার স্বামী। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেছেন আনোয়ারা খাতুন। মামলায় স্বামী মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের তরিকুল ইসলাম, দেবর তৌহিদুল ইসলাম ও শাশুড়ি হাফিজা খাতুনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য বাঘারপাড়া থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে আনোয়ারা খাতুনের আইনজীবী মোস্তফা হুমায়ুন কবীর।
আদালতে দায়ের করা অভিযো থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সিলুমপুর গ্রামের জামসের আলীর মেয়ে আনোয়ারা খাতুনের সাথে মেহেরপুরের তরিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় স্বর্ণালংকারসহ দুই লাখ টাকার মালামাল উপহার হিসেবে দেয়া হয়। চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে ব্যবসার জন্য তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকেন তরিকুল। এতে রাজি না হয় স্বামী, দেবর ও শাশুড়ি তার ওপর নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে গত ২৭ জুন একমাত্র ছেলে সন্তানসহ আনোয়ারাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি বাবার বাড়িতে চলে যান। গত ১৬ জুলাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দুই পরিবার মিমাংশায় বসে আনোয়ারা খাতুনের বাড়িতে। মিমাংশা শেষে মাইক্রোবাসে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে রওনা হন স্বামী তরিকুল ইসলাম। পথে বাঘারপাড়ার রায়পুর নামক স্থানে গাড়ি থামিয়ে আনোয়ারা খাতুনকে মারপিট করে তার মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়া এগিয়ে এলে তরিকুল ইসলাম ও তার স্বজনরা গাড়িতে করে পালিয়ে যান। পরে স্বজনরা আনোয়ারা বেগম ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
বিডি প্রতিদিন/এএম