অরক্ষিত বগুড়া সদর থানা পাহাড়া দিচ্ছেন আনসার সদস্যরা। পুলিশ সদস্যরা ১১ দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষণা করায় আপাতত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আনসারদের।
আজ শুক্রবার দুপুরে বগুড়া সদর থানার প্রধান ফটকে ৮ থেকে ১০ জন আনসার সদস্যকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনা ঘটে বগুড়ায়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বগুড়া সদর থানায় হামলার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ নিরাপদস্থানে চলে গেলে থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে থানার আসবাবপত্রসহ সবকিছু পুড়ে গেছে। পরে পুলিশ সদস্যরা ১১ দফা দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষণা করে। ফলে পড়ে থাকা বগুড়া সদর থানা পাহারা দিচ্ছে আনসার বাহিনী।
শুক্রবার দুপুরে বগুড়া সদর থানার প্রধান ফটক বন্ধ ছিল। থানার সামনে ৮ থেকে ১০ জন আনসার সদস্যরা পাহারা দিচ্ছেন। আপাতত কাউকে থানায় ঢুকতে দিচ্ছেন না। ফলে প্রায় শূন্যই পড়ে আছে থানা। এ অবস্থায় পুলিশকে আবারও ঢেলে সাজিয়ে কাজে যোগদানের আহবান সাধারণ মানুষের। সাধারণ মানুষ বলছেন, আমরা চাই এমন পুলিশ আসুক যে কোন নেতার বা এমপির হয়ে কাজ করবেন না। তাদের নিজস্ব গতিতে চলবেন। কেউ অনিয়ম করলে তাকে শাস্তি দিবেন।
অন্যদিকে আনসার সদস্যরা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পাহাড়া দেয়া হচ্ছে। এমন কাজ করতে পারায় আনসার সদস্যরা খুশি। যদি কোন নির্দেশনা আসে সে হিসেবেই কাজ করবো। আপাতত আমাদের দায়িত্বে রয়েছে থানাগুলোতে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল