পঞ্চগড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ স্বাস্থ্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের কয়েকটি অফিসে কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় করেছেন। এসময় পঞ্চগড় ডায়াবেটিক সমিতির হাসপাতালে ছাত্রদের তোপের মুখে পড়েন পঞ্চগড় ১ আসনের সাবেক এমপি ও ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মজাহারুল হক প্রধান।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা জানতে পেরে ডায়াবেটিক সমিতির হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন তারা। এসময় সাবেক ওই সংসদ সদস্য মিটিং করছিলেন। শিক্ষার্থীরা এসময় তাকে বলেন আপনি যে কমিটির সভাপতি সেই কমিটির বৈধতা নেই। সমাজ সেবা অধিদপ্তর এই কমিটিকে অনুমোদন দেয়নি। বৈধ কাগজপত্র থাকলে আপনি দেখান। এসময় এমপি বলেন, এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক বলতে পারবে। আগামীকাল আপনারা আসেন। সকল কাগজপত্র দেখানো হবে।
শিক্ষার্থীরা এসময় বলেন, আপনি আমাদের অভিভাবকের মতো। সম্মানীয় মানুষ। এই হাসপাতালে অনেক দুর্নীতি হয়। এ বিষয়ে পত্রিকা টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার হয়েছে। এসময় তারা এমপিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করার অনুরোধ জানান। পরে সাবেক ওই সংসদ সদস্য সবার কাছে সময় চেয়ে কক্ষ ত্যাগ করে মাইক্রোতে করে চলে যান। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মখলেছার রহমান, সহ সমন্বয়ক মুরাদ হাসান ও ইতি আক্তারের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্য বিরোধী নাগরিক সমাজ পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক একেএম আনোয়ারুল ইসলাম খায়ের উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি ২০ বছর আগে আজীবন সদস্য হয়েছি। কোনদিন একটি মিটিংয়ে আমাকেও ডাকা হয়নি। সাধারণ সদস্যরা এই হাসপাতাল নিয়ে কিছুই জানে না। একটি সিন্ডিকেট এই হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণ করে লুটপাট করছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল