বন্ধ হয়ে যাওয়ার অন্তত ৭দিন পর নোয়াখালীতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় নোয়াখালীর সদরের সুধারাম মডেল থানাসহ ৮ থানায় আইন শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এখনো পুরোপুরি ভাবে স্বাভাবিক হয়নি। একই সাথে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ট্রাফিক পুলিশের কাজ শুরু করেছে।
সোমবার সকাল থেকেই জেলার ১০টি থানার মধ্যে ৮টি থানার পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগদান করেছেন। এসময় সেনাবাহিনী সদস্যদের সহায়তায় থানাগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়। এছাড়া জেলা শহর শহর বিভিন্ন স্থানে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছেন ট্রাফিক পুলিশ। তবে থানারগুলোর নিরাপত্তায় এখনো সেনাসদস্যদের নিয়োজিত করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট সারাদেশের বিভিন্ন থানায় হামলার পর থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়ার অন্তত ৭দিন পর নোয়াখালী জেলার ট্রাফিকের কাজ আজ থেকে শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে জেলা ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা ও সুধারাম মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে নিজেদের কার্যক্রম চালু করেন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় থানা কার্যক্রম চালুর পাশাপাশি আজ থেকে মোবাইল টিমগুলো সচল করার চেষ্টা চলছে।
সকাল থেকে জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন সড়কের ঘুরে ট্রাফিক সদস্যদের কাজ করতে দেখা গেছে। তবে আজও ট্রাফিক সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে বিএনসিসি, স্টাউট‘সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। জেলার ট্রাফিক কর্মকর্তা সিরাজদ্দোলা জানান ট্রাফিক পুলিশ এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা ও পুলিশকে সহায়তা করছে। এর আগে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ট্রাফিক পুলিশ।
পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, এদিকে হামলা ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত সোনাইমুড়ী ও চাটখিল থানায় দ্রুত কার্যক্রম শুরুর চেষ্টা চলছে। আজ থেকে ৮ থানার দাপ্তরিক কাজ শুরু হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম