ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করে গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে শেরপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে জেলা বিএনপি। ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে মিছিলটি আবার একই জায়গায় এসে শেষ হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত ওই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেল। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আলহাজ হজরত আলী।
এ সময় প্রধান বক্তার বক্তব্যে হজরত আলী বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার যে দুঃশাসন চালিয়ে গুম, খুন, নির্যাতন করেছে তাতে আগামী ৫০ বছরেও তাদের চেহারা দেখা যাবে না। তাদের দুঃশাসনের কারণে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা তার পরিবার নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এ সময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্য তিনি আরও বলেন, আমাদের চূড়ান্ত বিজয় কিন্তু এখনও আসেনি। আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। কেবল স্বৈরাচারীর পতন হয়েছে। দেশ নেতা তারেক রহমানের কড়া বার্তা রয়েছে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে কোনোরকম চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রমাণ পেলে তাকে দল থেকে বহিষ্কারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনী হতে তুলে যাওয়া হবে। তাই আপনারা এসব থেকে বিরত থাকবেন।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের দলীয় কোনো মিছিল মিটিংসহ কোনো কার্যক্রম করতে দেয়নি। হাসিনা সরকার সারাদেশে এমন নির্যাতন চালিয়েছে যে তাদেরকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হলো। এছাড়াও তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে একশ্রেণির দুষ্কৃতিকারী ঢুকে ভাঙচুর ও নৈরাজ্য চালিয়েছে। তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে। শেরপুরে বসবাসরত সকল ভিন্ন ধর্মের মানুষের বাড়িঘর ও মন্দির পাহারা দেওয়া হচ্ছে এবং এটা চলবে। এই শেরপুরে কোনোদিন বৈষম্য ছিল না। কোনো বৈষম্য থাকবে না। আমরা হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই।
এ সময় জেলা বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম মাসুদ, পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান, আবু রায়হান রুপন, মো. সাইফুল ইসলাম, আতাহারুল ইসলাম আতা, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম শিপন, শফিকুল ইসলাম গোল্ডেনসহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল