শেরপুরের শ্রীবরদীতে মসজিদের চাঁদা তোলা নিয়ে দ্বন্দ্বে হামলা ও মারপিটের ঘটনায় ছোট ভাই যুবদল নেতা লিটন মিয়ার ((৪৩) মৃত্যুর ১৫ দিন পর আহত বড় ভাই স্কুলশিক্ষক শরিফুল ইসলাম (৪৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সোমবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শরিফুল মারা যান। নিহত দুই ভাই উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের মালাকোচা গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মৃত নুরুল হকের ছেলে। ঘটনার দিন শরিফুলের ছোট ভাই লিটন মিয়া (৪৩) মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ জহুরুল হক (৪৮) নামে একজনকে আটক করেছে।
জানা যায়, স্থানীয় একটি মসজিদের তোলা (চাঁদা) নিয়ে গত ২৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা গ্রামে প্রতিপক্ষ আলতাফ হোসেন শিরা ও তার লোকজনের হামলায় লিটন মিয়া, তার দুই ভাই শরিফুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিটন মিয়ার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর গা ঢাকা দেয় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় নিহত লিটনের বড় ভাই তোতা মিয়া বাদী হয়ে থানায় ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, শরিফুলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ সোমবার ভোর ৭টার দিকে আহত শিক্ষক শরিফুল ইসলাম মারা যান।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, ওই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই