মিয়ানমার সীমান্তের লাল দ্বীপ এলাকা থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে তিনটি গুলি এসে পড়েছে। বন্দরের কার্যালয়ের জানালার গ্লাসে এবং ট্রাকের সামনের গ্লাসে দুটি গুলি পড়েছে। আরেকটি গুলি পড়েছে বন্দরের ভেতরে।
আজ বুধবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।
তিনি বলেন, বুধবার দুপুরের দিকে নাফ নদীর মিয়ানমার সীমান্তের লাল দ্বীপ এলাকা থেকে তিনটি গুলি এসে পড়ে টেকনাফ স্থলবন্দরে। বন্দরের কার্যালয়ের জানালার গ্লাসে ও ট্রাকের সামনের গ্লাসে দুটি গুলি লাগে। এতে জানালার গ্লাস ও ট্রাকের সামনের গ্লাস কিছুটা ভেঙে যায়। আরও একটি গুলি বন্দরের ভেতরে পড়েছে। তবে বন্দরে কর্মরত কোনো ব্যক্তির শরীরে গুলি লাগেনি। কারা গুলি বর্ষণ করেছে সেটা স্পষ্ট নয়।
সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে লাল দ্বীপে দুই-তিন সপ্তাহজুড়ে মিয়ানমারের দুই সশস্ত্র সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন (আরএসও) ও আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। এ ঘটনায় সীমান্তে উত্তেজনা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে মিয়ানমার সীমান্তের ওই দ্বীপে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) নামে আরও একটি সশস্ত্র সংগঠন অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে, রাখাইনের মংডুর শহরে দেশটির সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মিসহ তিনটি বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে সংঘাত চলমান রয়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গুলি এসে পড়ে কার্যালয়ের জানালার গ্লাস ও একটি ট্রাকের গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে কেউ হতাহত হননি। ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এর আগে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে একাধিকবার নাফ নদীতে বাংলাদেশি ট্রলার ও স্পিডবোট লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণের ঘটনাও ঘটেছিল।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ