রাজবাড়ীর কালুখালীতে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার নাম নাজমুল মোল্লা (৪৫)। তিনি ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার পূর্ব গাড়াকোলা গ্রামের মৃত আহাম্মদ মোল্লার ছেলে।
জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর বাজারে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরির সময় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন নাজমুল। এরপর তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে মারা যান তিনি। তিনি ভ্যান চালালানোর পাশাপাশি ভাঙ্গারি ব্যবসা করতেন।
শনিবার বিকালে নিহতের স্ত্রী আন্না (৩৫) দাবি করে বলেন, “আমার স্বামী অনেক ভালো মানুষ। গত মঙ্গলবার তিনি কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের আমাদের মেঝ মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে ৩টার দিকে আমার আত্মীয় বাড়িতে ঘুমানোর সময় ৪/৫ জন মানুষ তাকে ডাকাডাকি করে। এরপর ১০-১২ জন মানুষ এসে তাকে চোর সন্দেহে মারতে থাকে। এরপর শনিবার তিনি মারা যান। আমার মেয়ে-জামাতা দেখেছে তাকে কারা মেরেছে। আমি সবার নামে মামলা করব।”
কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মেহেদী হাসান মুঠোফোনে বলেন, সকাল ৯টার দিকে কয়েকজন লোক আহতাবস্থায় নাজমুলকে হাসপাতালের গেটের সামনে রেখে যান। এরপর তিনি নিজেই হেটে চিকিৎসার জন্য আমাদের কাছে আসেন। এসব রোগীর ক্ষেত্রে পুলিশকে অবগত করতে হয়। আমরা নিয়ম মেনে সেটা করে চিকিৎসা শুরু করি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। কিন্তু তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করার মতো কেউ ছিল না। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চিকিৎসা করতে থাকি। দুপুরের দিকে তিনি মারা যান।
কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহেদুর রহমান বলেন, চোর সন্দেহে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমুল মারা গেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ