হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর-মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া জেলার অন্যতম আঞ্চলিক মহাসড়ক। বর্তমানে ঢাকা আরিচা সহাসড়কের চেয়ে এ রাস্তায় যানবাহন বেশি চলাচল করে থাকে। তবে বেউথাঘটে রাস্তার উপর বাজার বসায় গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা –আরিচা মহাসড়কের চাপ ও দুর্ঘটনা কমাতে কয়েক বছর আগে যানবাহন চলাচলের জন্য হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর মানিকগঞ্জ –পাটুরিয়া আঞ্চলিক সড়কটি প্রশস্ত করা হয়। সময় কম লাগায় এবং দুর্ঘটনা রোধে সড়কটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। দিনে দিনে এই সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। পুরো রাস্তাটি স্বাচ্ছন্দে চলাচল করা গেলেও বেউথা ঘাটে এসে বিড়ম্ভনায় পড়তে হয় যানবাহন চালক ও যাত্রীদের। রাস্তার উপর বাজার বসায় জ্যামে আটকে পড়ে স্কুল বাস, টেম্পু, মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহন। সময়মতো স্কুলবাসগুলো গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চরম ক্ষতি হচ্ছে। এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি চান সব শ্রেণী-পেশার মানুষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা অল্প কিছু লোক রাস্তার এক পাশে বসে ব্যবসা করতাম। চলাচলে কোন অসুবিধা হতো না। স্থানীয় এক নেতা দোকান বসানোর সুযোগ করে দিয়ে প্রতিদিন চাঁদা নিতেন। তার কারণে রাস্তা জুড়ে বাজার বসে গেছে।
স্কুল বাসচালক স্বপন মিয়া বলেন, আমি প্রতিদিন স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা যাওয়া করি। বেউথা ঘাটে রাস্তার উপর বাজার বসার কারণে প্রতিদিন আটকে থাকতে হয়। এ জন্য অনেক দিন সঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছতে পারি না।
তিনি আরোও বলেন, বাজারের দুদিকেই ভাল মানের স্কুলের অবস্থান। প্রতিদিন স্কুল সময়ে অনেক বাস আসা যাওয়া করে। লেখাপড়ার কথা ভেবে দ্রুত এখান থেকে বাজার সরিয়ে অন্যত্র নেওয়া উচিৎ।
জেলা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস বলেন, জনসাধারনের চলাচলে সমস্যা করে কোন কিছু করা যাবে না। ভাসমান এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অন্যত্র বসার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সাথে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দখল মুক্ত রেখে চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম আমান উল্লাহ বলেন, চলাচলে প্রতিবন্ধকতা করে কোন কিছু করা যারে না। যানবাহনসহ সাধারণ লোকজনের চলাচল স্বাাভাবিক রাখতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ