রূপ সাগর। এই সাগরের সৌন্দর্যে হাবুডুবু খায় দর্শনার্থীরা। এই সাগরে ঘোড়াও দৌঁড়াতে দেখা যায়! এটি কুমিল্লার একটি দর্শনীয় স্থান। মূলত এটি একটি দিঘি। তবে এর চারপাশে সবুজের হাট বসেছে। বসেছে সৌন্দর্যের প্রদর্শনী। পরিবার নিয়ে নিরিবিলি সময় কাটানোর একটি মনোরম স্থান। কুমিল্লা সেনানিবাস সংলগ্ন নাজিরা বাজারে রূপ সাগর অবস্থিত। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত হওয়ায় রূপ সাগর পাড়ে দর্শনার্থীর ভিড় লেগেই থাকে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দিঘির দক্ষিণ পাড় ছোট টিলার মত। দিঘির তিন পাড়ে পর্যটকদের বসার জন্য বেঞ্চ রয়েছে। নানা রকম ফুল ও পাতা বাহারের সমাহার চোখে আরাম দেয়। পূর্ব পাড়ে রয়েছে ঘাসের সবুজের গালিচা। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকায় স্থানটি নিরাপদ। তাই সেখানে পরিবারের সদস্য নিয়ে অনেকে ঘুরতে এসেছেন। বিকালে বেশি দর্শনার্থী ভিড় করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের পহেলা এপ্রিল দিঘিটি পুনঃসংস্কার ও আকর্ষণীয় করা হয়। এরিয়া কমান্ডার এবং জিওসি, ৩৩ পদাধিক ডিভিশন মেজর জেনারেল মোঃ জাহিদুর রহমানের নির্দেশনায় ও পৃষ্ঠপোষকতায় সদর দপ্তর ৪৪ পদাধিক ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে ‘রূপ সাগর দিঘি উন্নয়ন প্রকল্প’এর কাজ শুরু হয়।
রূপ সাগরের পাড়ে রয়েছে ওয়াকওয়ে, জাহাজের আদলে ক্যাফেটেরিয়া, রূপ সাগর দিঘির মাঝখানে বিভিন্ন ভঙ্গির ২৫টি ঘোড়ার ভাস্কর্য ও শিশু পার্ক। এছাড়া রয়েছে প্যাডেল বোট। এখানে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য টিকেটের মূল্য ৮০ টাকা। প্রতিদিন রূপ সাগর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
ভিক্টোরিয়া কলেজ শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম সুমন ও আবু সুফিয়ান রাসেল বলেন, সময় কাটানোর জন্য স্থানটি দারুণ। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বেশ। শিক্ষার্থীদের প্রবেশ মূল্য আরও কমালে ভালো হতো।
পরিবার নিয়ে চান্দিনা থেকে ঘুরতে এসেছেন জাভেদ মিয়াজী। তিনি বলেন, দিঘিরপাড়ে শিশুরা ছোটাছুটি করতে পারে। চারপাশে যেন সবুজের গালিচা বিছানো। এখানে এলে দারুণ সময় কাটে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ