বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সাথে সংঘর্ষে নিখোঁজ স্পিডবোটের তিন যাত্রীর পরিচয় পাওয়া গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখে জনতার হাট এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পর নদী থেকে উদ্ধার করা জালিস মাহমুদ (৫০) নামের এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। এছাড়াও মানসুর আহমেদ নামে ভোলার দৌলতখান থানার কনস্টেবল আহত হয়।
প্রাথমিকভাবে চারজন নিখোঁজের কথা জানিয়েছিলো পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে বরিশাল সদর নৌ-থানার এসআই ওমর ফারুক জানান, তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। সন্ধ্যার পূর্বে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা কারো সন্ধান পায়নি। তবে ডুবে যাওয়া স্পিডবোট উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
নিখোঁজ তিন জন হলেন-ভোলার উত্তর চর ভেদুরিয়া এলাকার বাসিন্দা স্পিডবোট চালক মো. আল আমিন, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নোওয়াপাড়া এলাকার আজগর আলীর ছেলে রাসেল আমিন (২৫) ও বাবুগঞ্জের রহমতপুরের দুলাল দাসের ছেলে সজল দাস (৩০)।
এসআই ওমর ফারুক আরো জানান, এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে স্পিডবোট চালক আল-আমিন ও বাল্কহেড চালক আটক শরিয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানার কোরালতলী এলাকার বাসিন্দা খালেক মাঝিসহ অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
এদিকে নিখোঁজ সজল দাসকে বাড়ি ফেরত পাঠাতে তার মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে মাকে কল করে ২৫ হাজার টাকা দাবি করেছে। এ ঘটনায় তার চাচা শংকর দাস কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেছেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে যতটুকু তথ্য পেয়েছি তাতে বোঝা যাচ্ছে নিখোঁজ সজলের মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করা হয়েছে। বিষয়টি জানার পরপরই আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছি। সিমগুলোর বিষয়ে তথ্য নেয়া হচ্ছে।
বেঁচে ফেরা যাত্রী পুলিশ কনস্টেবল মানসুর আহমেদ বলেন, স্পিডবোটের চালক অল্প বয়সী ছিলেন। চালকসহ স্পিডবোটে তারা ১০ জন ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় চালক যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নিচ্ছিলেন। দ্রুতগতির স্পিড বোটের সামনে যখন বাল্কহেড পড়ে। তখন গতি নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ ছিলো না। স্পিড বোড বাল্কহেডের নিচে চলে যায়। তখন তারা লাফিয়ে বেঁচে গেছেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল