বগুড়ায় খাদ্যে ভেজাল শনাক্তে কাজ করছে ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার। এই পরীক্ষাগারে মাত্র ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে শনাক্ত করা হচ্ছে খাদ্যে ভেজাল। ঘি, দুধ, মসলা, তেল, বিস্কুট, কেক, পাউরুটি ইত্যাদিতে ভেজাল শনাক্ত করা যায় খুব দ্রুত সময়ে। ভোক্তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বগুড়া।
দেশের প্রতিটি বিভাগের জন্য রয়েছে একটি করে ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার। রাজশাহী বিভাগের জন্য এই পরীক্ষাগার প্রতিমাসে নিয়ম অনুযায়ী বগুড়া জেলায় আসছে ভেজাল শনাক্ত করতে। সম্প্রতি বিভিন্ন খাদ্য নমুনা সংগ্রহ করে তাৎক্ষণিক পরীক্ষায় ভেজালের প্রমাণও মিলেছে। এরই মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানকে সতর্ককরাসহ জরিমানা করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন খাদ্যের নমুনা পরীক্ষা করে ভোক্তাদের মাঝে সাড়া ফেলেছে ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার। বগুড়ায় ঘি, পাউরুটি, মসলার নমুনা পরীক্ষা করে কিছু প্রতিষ্ঠানকে সতর্কসহ জরিমানাও করা হয়েছে। এতে করে টনক নড়েছে অসাধু ব্যবসায়ীদের। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এমন কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন সবাই। নিয়মিত এমন মনিটরিংসহ অভিযান অব্যাহত থাকলে নিরাপদ খাবার পাবেন বগুড়াবাসী। এমন প্রত্যাশা ব্যবসায়ীসহ সচেতন মহলের। নিয়মিত অভিযানে ব্যবসায়ীসহ ভোক্তাদের সচেতনতা বাড়বে বলে মনে করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি বগুড়ার রাজাবাজার এলাকায় নিউ গন্ধেশ্বরী ঘি নামে প্রতিষ্ঠানের ঘিয়ে ডালডা মেশানোর প্রমাণ পায় এই পরীক্ষাগার। এসময় নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী ৩ লাখ টাকা জরিমানা করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মসলা, ঘি, পাউরুটিতে ভেজাল পাওয়ায় প্রথমবার সতর্কসহ সংশোধন হওয়ার আহ্বান জানান নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। ভোক্তারা বলছেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে শুধু অভিযান নয়, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
বগুড়ার রাজাবাজার ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ জানান, ভেজাল রোধে এমন অভিযান প্রশংসনীয়। ভেজাল কারবারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে করে কেউ খাদ্যে ভেজাল মেশানোর সাহস না পায়।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বগুড়ার কর্মকর্তা মো. রাসেল জানান, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বগুড়া জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ অভিযান অব্যহত রেখেছে। নিয়মিত ল্যাব পরিচালনা করলে ব্যবসায়ীসহ ভোক্তারাও সচেতন হবেন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ