ভারতীয় সিমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক পঞ্চগড়ের পৃথক দুইটি সিমান্ত দিয়ে আবারও পুশইনের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় সদর থানা ও বোদা থানা কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ জানায়, গত রাতে জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের মালেকাডাঙ্গা দাড়িয়ার মোড় সিমান্ত দিয়ে ৬ নারী, ৫ শিশু ও ৬ জন পুরুষ সহ মোট ১৭ জনকে রাতের আধারে পুশইন করে ভারতীয় সিমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পরে সিমান্তবর্তি এলাকায় ঘুরাঘুরি করতে দেখে তাদের আটক করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। পরে বিজিবি সদস্যরা খবর পেয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বোদা থানায় সোপর্দ করে। এ এলাকায় আটককৃতরা হলেন বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার আমতলি এলকার তোতোম্বরের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন(৫৫), তার স্ত্রী রহিমা বেগম(৪৫) তাদের ছেলে জিয়া(২৬), হিরা মিয়া(২০), জিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম (২১) তাদের মেয়ে আঁখি আক্তার (১০), ছেলে জাহানুর (২), একই এলাকার মোসলেম তালুকদারের ছেলে দ্বীন ইসলাম (৫০),তার স্ত্রী শিউলী বেগম (৪৩) তাদের ছেলে আল আমিন (২৮), আলাউদ্দিন (১০) মেয়ে জান্নাতি বেগম (১৭), খুশি খাতুন (০৬) আশরাফ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর (৪৭) তার স্ত্রী হনুফা আক্তার, একই এলাকার মাহমুদের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ৪ে০) তার ছেলে সিফাত (০৬)।
অন্যদিকে প্রায় একই সময়ে সদর উপজেলার শিংরোড সিমান্ত দিয়ে ২ নারী, ৩ শিশু ও ২জন পুরুষ সহ আরো ৭জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। পরে তাদের সিমান্ত এলাকা থেকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর সদর থানায় সোপর্দ করে বিজিবি। এই এলাকায় আটককৃতা হলেন মৃত খাজা মোল্লার স্ত্রী আফসানা খাতুন (৪০), তার ছেলে রমজান মোল্লা (২৫), মেয়ে হাবিবা (১৩),মিনা (০৫), রমজান মোল্লার স্ত্রী মাসুরা মোল্লা (২২) তাদের মেয়ে ছানিয়া (০২) এবং মৃত আব্দুল্লাহর ছেলে আমির হোসেন। এদের প্রত্যেকের বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার মাদব পাশা এলাকায়। পঞ্চগড় সদর থানার আব্দুল্লাহিল জামান এবং বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দীন জানান আটককৃতদের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। সঠিক পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাদেরকে পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম