চাঁদপুরে ইলিশের ভরা মৌসুম শুরু হলেও পদ্মা-মেঘনায় জেলেদের জালে ধরা পরছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তগুলোতে সপ্তাহখানেক ধরে ইলিশের আমদানি কিছুটা বাড়ায়, দাম কিছুটা কমেছে। তবে আমদানিকৃত ইলিশের অধিকাংশই সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল হাতিয়া, সন্দ্বীপ, ভোলা, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী অর্থাৎ নামা অঞ্চলের। তবে স্থানীয় পদ্মা-মেঘনার ইলিশের দাম কমেনি।
রবিবার বড় স্টেশন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, হাঁক-ডাক দিয়েই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।
জেলে খালেক গাজী ও সলেমান বেপারী বলেন, বুক ভরা আশা নিয়ে নদীতে নেমেছি কিন্তু মাছ না পেয়ে হতাশা হয়ে ফিরে এসেছি। ইলিশের ভরা মৌসুম শুরু হলেও নদী ইলিশ শূন্য। পদ্মা-মেঘনায় দিন-রাত জাল ফেলে অধিকাংশ সময়ই এক প্রকার শূন্য হাতে জাল-নৌকা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়। যে পরিমাণ ইলিশ ধরা পরে, তাতে নৌকার তেল ও দৈনন্দিন খরচ উঠে আসছে না।
ক্রেতা কামরুল হাসান রনি বলেন, ভরা মৌসুমে ইলিশের আমদানি পর্যাপ্ত না থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেন। বাজারে এসে দেখছি ইলিশের দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। তাই মাছ না কিনেই বাড়ি ফিরছি, দাম যখন কমবে তখন কিনবো। চাঁদপুর ইলিশের বাড়ি হলেও, ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে দাম না থাকায় ইলিশের স্বাদ তেমন একটা নিতে পারছি না।
আড়তদার শাহজাহান বেপারী ও দেলোয়ার হোসেন জানান, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম হলেও আড়তগুলোতে তেমন ইলিশ নেই। অন্যান্য বছর এই সময়ে ভাত খাওয়ার সময় পেতাম না। এ বছর মৌসুমে আড়তগুলোতে পর্যাপ্ত ইলিশ না আসলে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে পর্যাপ্ত ইলিশের আমদানি হবে। অন্যান্য বছর এসময় স্থানীয় পদ্মা নদী ও বরিশাল থেকে অনেক মাছ আসতো। আজকে আড়তে ৭শ’ থেকে ৯শ’ গ্রাম সাইজের ইলিশ ২ হাজার/ ২১শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ১ কেজি থেকে ১১/১২শ’ গ্রামের ইলিশ ২৭/২৮শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ১২/১৫শ’ গ্রাম সাইজের ইলিশ ৩ হাজার/৩২শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে স্থানীয় পদ্মা-মেঘনার ইলিশের দাম আকারভেদে প্রতি কেজি ২/৩শ’ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহখানেক ধরে আড়তে গড়ে একশ’ থেকে দেড়শ’ মন ইলিশ আমদানি হচ্ছে। গত বছর এই সময় দৈনিক দেড় থেকে দুই হাজার মন ইলিশের আমদানি ঘটেছিল।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত