নীলফামারী জেলা সদর উপজেলার তিস্তা সেচ প্রকল্পের বাঁধ (বামতীর) ভেঙে রোপা আমনের খেতসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রবিবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সদরের কালিতলা ভাট্টাতলি নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
বন্যায় তিস্তার দিনাজপুর সেচ খালের চাঁদেরহাট সুঁইচ গেট থেকে নীলফামারী সদর, দিনাজপুরের খানসামা ও চিরিরবন্দর এলাকায় খরিপ-২ মৌসুমের সেচের পানি প্রদান বন্ধ হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত বাঁধ মেরামতে জিও ব্যাগ ও মাটি ফেলে মেরামতের কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কালিতলা ভাট্টাতলি গ্রামের কৃষক ইউনুছ আলী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাত না থাকায় সেচের পানির চাহিদা বৃদ্ধি পায়। ফলে দিনাজপুর সেচ ক্যানেলে পানির চাপ বেড়ে যায়। ওই সেচের পানি দিয়ে কৃষকরা রোপা আমন চারা রোপণ করছিল। শনিবার রাতে এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে ইঁদুরের গর্তে ক্যানেল পাড়ের বাঁধে ফাটল ধরে। ফলে রবিবার সকালের দিকে হঠাৎ দিনাজপুর সেচ খালের পাড়ের মাটি পানির চাপে বিধ্বস্ত হয়। এতে ওই এলাকায় হু-হু করে পানি ঢুকে পড়লে এলাকার প্রায় ৩০ একর রোপা আমন খেত এবং ঢেড়স, মরিচ, বিভিন্ন শাক-সবজির খেত পানিতে তলিয়ে যায়।
ওই এলাকার কৃষক মোজাম্মেল আলী বলেন, আমার ৫ বিঘা জমির রোপা আমন ক্ষেত পানির নিচে ডুবে গেছে। আমার মতো এমন অনেক কৃষকের রোপা আমন পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে আবার নতুন করে চারা রোপণ করতে হবে।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে রাতে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পাড়ের মাটির ওপর চাপ পড়ে । এতে ইঁদুরের গর্তে পানি ঢুকে পাড়ের ৩০ ফিট বিধ্বস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে সেখানে জিও ব্যাগ ও মাটি দিয়ে ভাঙা অংশে মেরামত করা হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল