দেশজুড়ে পালিত ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে কুড়িগ্রামে মঙ্গলবার নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়। জেলার প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে পালিত হয় দিবসটি।
সকালে সাড়ে ৯টায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ভগিরভিটা এলাকায় শহিদ নুর আলম এর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এরপর শহিদ নুর আলম ও জুলাই যুদ্ধে নিহত সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে শহিদের স্ত্রী খাদিজা আক্তার, দশ মাসের শিশু সন্তান, বাবা আমির আলী, মা এবং দাদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিএম কুদরত এ খুদা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি শাহজালাল সবুজ, এনসিপির জেলা প্রধান সমন্বয়কারী মুকুল মিয়া, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
সকাল সাড়ে ১১টায় কুড়িগ্রাম পৌর অডিটোরিয়ামে শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে এক সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শহিদ পরিবারের সদস্য এবং আহত জুলাই যোদ্ধারা স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন। পরে শহিদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে র্যালি, আলোচনা সভা এবং জেলার বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আশিক