হাতি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী। একই সঙ্গে রহস্যময়ও বটে। কারণ, হাতি যে একটি বুদ্ধিমান প্রাণী তা এই প্রাণীটির অনেক গোপনীয় বিষয় আছে, যা জানলেই বুঝবে। বৃহদাকার এই প্রাণীটির সম্পর্কে কিছু মজার ও অদ্ভুত তথ্য দেওয়া হলো-
► স্থলজ জীবজন্তুর মধ্যে হাতির মস্তিষ্ক সবচেয়ে বড় (৫ কিলোগ্রাম)। হাতির বিষাদ, হাস্যরস, সহানুভূতি, সহযোগিতা, আত্মসচেতনতা, সরঞ্জাম ব্যবহার এবং শেখার ক্ষমতা আছে।
► হাতির মজার কিছু অভ্যাস আছে যা অনেকটা মানুষের মতোই। মানুষের মতো হাতিরও সান ক্রিম প্রয়োজন হয়।
► হাতি পরিবারের নেতৃত্ব দেয় মহিলা হাতি। একটি মহিলা হাতির নেতৃত্বে ২৫টি হাতি পরিবারের মতো এক সঙ্গে বাস করে। হাতি পরিবারে বয়স্ক হাতির প্রভাব অনেক বেশি থাকে, হাতি পরিবারে বয়স ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচন করা হয়। পুরুষ হাতি ৮ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে নিজ পরিবার ত্যাগ করে সঙ্গীর সন্ধানে অন্য ছোট পরিবারে থাকতে শুরু করে।
► সাধারণত একটি হাতি ৬০ থেকে ৮০ বছর বাঁচে। যদি কোনো হাতি অসুস্থ হয় তখন তাদের দলের অন্য সদস্যরা খাবার এনে দেয় এবং তাকে দাঁড়াতে সাহায্য করে। যদি হাতিটি মারা যায় তাহলে পালের সবাই শান্ত হয়ে যায়। তারা মৃত হাতির জন্য অগভীর কবর খনন করে, ধুলা-মাটি ও গাছের ডালপালা দিয়ে ঢেকে দেয়।
► হাতির গর্ভকালীন সময় প্রায় দুই বছর। হাতির গর্ভকালীন সময় সবচেয়ে দীর্ঘ, যা ২২ মাস স্থায়ী হয়। হাতির বাচ্চার ওজন হয় ২৬০ পাউন্ড। জন্মের কিছুক্ষণ পরই এরা দাঁড়াতে পারে।
► হাতির শুঁড় হাতির অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী অঙ্গ। এটি অনেক শক্তিশালী হয় যা দিয়ে গাছের ডালপালা চিরে ফেলতে পারে। পানি পান করার জন্য ও গোসলের জন্যও শুঁড় ব্যবহার হয়। শুঁড় দিয়ে হাতি একবারে ১৪ লিটার পানি শোষণ করতে পারে। হাতি সাঁতার কাটতে পারে এবং ডুব সাঁতারের সময় শ্বাস নেওয়ার জন্য শুঁড়ের সাহায্য নেয়।
► একটি পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ হাতির গজদন্ত বছরে ৭ ইঞ্চি বৃদ্ধি পায়। এশিয়ান মহিলা হাতির গজদন্ত থাকে না।
► হাতির অনেক বেশি বড় কান থাকে যা শরীরের তাপ বিচ্ছুরিত হতে সাহায্য করে। হাতি আওয়াজের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। হাতির শব্দ এক মাইল দূরের অন্য হাতিরা শুনতে পায়। হাতি আনন্দ প্রকাশের জন্য কান নাড়ায়।
► হাতির ঘুম অনেক কম। হাতির ৪ ঘণ্টা ঘুমালেই হয়। এরা বেশির ভাগ সময় দাঁড়িয়েই ঘুমায়। গভীর ঘুমের জন্য হাতি এক পাশে ফিরে শোয় এবং অনেক জোরে নাক ডাকে।